শিখর
দাই মা বলে উঠলো  ছেলে হয়েছে গো ছেলে                                                                                     আর কি চিন্তা?  একটু বড়ো হোক সব ভার তো তার ই গলে
সবাই আদর করে নাম রাখলো ‘সৌভাগ্য’
শৈশবেই পিতৃহারা, নেমে এলো দুর্ভাগ্য|
সন্তান কি ভাবে মানুষ হবে দুশ্চিন্তায় মা
সংসার চালাতে বের হলো ঘরের বাহিরে পা
অভাবের সংসারে যৎসামান্য  আয়
তা দিয়েই  কোনো রকমে পেট চালানো ছাড়া  আর কি বা আছে উপায়?
প্রাথমিক শিক্ষা টুকুও পেলোনা সে ছেলে
সৌভাগ্যের  ভাগ্যটাই   গেলো অথৈ জলে
মায়ের কষ্ট দেখে পারলো না চুপ থাকতে
শিশুশ্রমিক হয়ে পড়লো বছর দশ হতে
চেয়ে চেয়ে দেখতো তার বন্ধুরা যায় স্কুলে
মনের চাহিদা কাকেই বা বলবে মন খুলে
এই ভাবেই  তাদের  দিন যায় চলে
দেখতে দেখতে বিশ বছরে পা দেয় ছেলে
মা কে আর সে দেয় না কাজ করতে
সংসারের পুরো দায়িত্ব নেয় নিজের কাঁধেতে
পাঠশালাতে  যাওয়াই তার হলো না  যে?
তাতে কি? মনুষ্যত্বের চরম শিখরে পৌঁছে গেছে সে||


                     স্বরচিত