মহাধরনী
                      প্রদীপ চন্দ্র রায়


মাথার উপরে ঠাঁই দিয়েছি
               ওহে মহাজ্ঞানী,
চিত্তবদনে দিয়েছি তোমা, হস্তে এ মহাধরনী।
তুমি সম্পদ শালী তুমিই বীরশ্রেষ্ঠা,
জাগিয়েছো তোমা, এ ধরনী হস্ত বদ্ধ করার তেষ্ঠা।
হস্ত তোমার লষ্ঠি শৃঙ্গ ইহাতেই বদ্ধ কর তাহারে,
দেবজ্ঞানে পুজিত করি তাই তোমায় বারে বারে।
আজি ঝন্ঝা জলোচ্ছ্বাস যত প্রলয় আসুক না এ আধারে,
রুদ্রের মতো বিলিন করিবে তোমার হস্ত তরবারে।
সৃষ্টি কর নশ্বর তনুতে অবিনশ্বর আলোকপাত,
মিটিয়েও মিটে না যেন এ পৃথিবীর স্বাদ।
মস্তিষ্ক তোমার তত্ত্ব ভান্ডার তনু কর্মসার,
দৃষ্টি পলকেই সৃষ্টি করিবে এ জগৎ সংসার।
আলোকপুন্জ প্রজ্জোলিত করিবে কাটিবে রুষ্ট প্রাত,
ধ্বংশলীলা স্তব্ধ করিবে বুনিবে তাতেই তাত।
তুমি প্রলয় শিখা এ মহাপ্রলয়ের ধরনী,
তুমিই শিশু তুমিই বৃদ্ধ এ যুগের তরুণ তরুণী।
তাই তোমায় মর্তপানে করিয়াছি বারে বারে বন্ধনা,
হস্তে কর মহাপৃথিবী জাগাও মনের প্রার্থনা।।