এত দিন ধরে পথপানে আছি তোমারি অপেক্ষায়,
বছর ফুড়িয়ে বছর এল,এলে না তো তুমি মোর কৌন্ঠায়।
                         তোমারি কুন্জে লেগেছিল দখিনা পবন
                        এনেছিলাম ফুল, কত পুজা-আয়োজন,
এলে না তো মোর পুজার আয়োজনে, ভন্ডুল করি` সব,
আমার অশ্রু জলে ভেসে গেল তব ফুল-উৎসব !
ছিড়ে যেন যায় প্রিয়া ছাড়া প্রিয়ের বক্ষের মণিহার,
বেদনার ব্যাথা বুকে লয়ে ঘুরি পাই না তো এ থেকে পার।
                      আজি পুজার থালা লয়ে আছি বসে
                        নাহি!  তুমি আস যদি অবশেষে।
দস্যু হইয়া করিব আগমন ভাঙ্গিব অখিল দ্বার,
ভেবে নাহি পাই,হব কি দস্যু আজি ছাড়িয়ে ফুল সম্ভার ?
কেমনে ভাঙ্গিল এমন বন্ধন এ কোন অভিশাপে ?
চন্দ্রের মতো কালো-কলঙ্ক আজি মনে আছে লেগে ।
                              অধরে কাজল ঘন বেদনার
                             জাগিয়েছো ঐ নয়ন তোমার,
ভূল করে যদি এসে থাক তুমি নয়নের আবছানি,
যেতে নাহি দিব সাজাবো তোমায় সাত সাগরের রানী।
  চাঁই তাই ফিরে ফিরে যদি ভূল করে এলে,
  অধরা কে ধরব ক্ষণেই নয়নে দেখতে পেলে।
                       তুমি ত জান না, কে মোর নিখিল বিশ্ব ?
                             তঁমা ছাড়া আজি সবই নিঃস্ব।
কার বনে ফুল ফোটাবার লাগি` ঢালিয়াছ এত নীর,
কার রাঙা পায় সাগর বাধিয়া করিয়াছ মন্জীর।
না চাহিতে এসেছিলে মোর রিক্ত-অবকুন্ঠনে,
তবে আজি কেন এস না হেথায়, নাই কি তঁমার মনে?
                                নির্মম নিষ্ঠুর বিরহে---
                          প্রিয়া বিনে প্রিয় কেমনে রহে ?
দিয়ে গেলে মোরে মিলনের মাঝে নিবিড় পীড়ন জ্বালা,
সে যে চলে গেলে এলে না কভু,ছিড়ে গাথা-মালা।
পাষান হৃদয় লয়ে লুকিয়ে আছ আমার চক্ষু আড়ালে,
ভূলিব না তোমায় আমি মন থেকে` নাহি কভু হারালে।
                               কুন্তল মেঘ ঢাকে অবিরল
                         অকারণে আজো চোখে আসে জল,
আমার কন্ঠ হইবে নিরব তোমারী হৃদয় পরশে,
থেমে যাবে ক্রন্দন বাধিবে আবারো বন্ধন প্রেমেরী সরসে।
তুমি যে মোর রুদ্ধ পথের পথিক আসিবে হেথায়
বসে আছি প্রাণ কাতরে শুধু তোমারি অপেক্ষায় ।।