কে জানে কোথায় দিক হতে দিগন্তে ছুটে চলিয়াছে ভাই মুসাফির
দিনে দিনে যেন বাড়িয়াছে তার লেনাদেনা, শীর হইয়াছে অধীর।
প্রলয়ের মতো ছুটে চলে যেন আপনা আপন বেগে
ক্ষণিক বিরামে ক্ষুদ্ধ সে-যে মস্তক ফাটে রেগে।
জন্মের পরপরেই চলিয়াছে সে,কত পাহড়-পর্বত পিছে ফেলে,
বুকে না ধরিতে চকিতে ত্বরিতে গিয়েছিল ছুটে চলে।
সিমাহীন ভাবে চলে যেন থামিতে চায় না ক্ষণিকে-অবধি
উচু থেকে নিচু পথে উল্কার মতো, আরো বাড়িয়ে দেয় গতি।


না জানি কোথায় ঠেকিবে তাহার দ্রুত বেগে পথ চলা
যেথায় সে যায় বুকে নিয়ে কত প্রাণ-কত বিন্দু বালা।
ঘাটে ঘাটে কত বাধিয়াছে সান গভীর- গহিন বনভূমি
ছল ছল করে ছুটে চলে পথে ডিঙিয়ে ফসলি জলাজমি।
অভাগিনী সে যে লুকাইয়া রাখে তার অন্তরের কথা,
ব্যাকুল হইয়া বিলিয়ে দেয় সে তার সলিলের শীতলতা।
কত জীব কত প্রাণ বাঁচি আছে ওর এ দুই তীরে,
যেন, উহাদের তরে এসেছে হেথায় পাহাড়ের বুক চিরে।
দেখিল না কভু তার অন্তর ব্যাথা, দেখিল সলিলের শীতলতা
জ্বলে পুড়ে কত চিতাগ্নি ভাসিয়াছে কূলে কূলে তথা।


                           ---হায়রে,  কত না হতভাগী----
তোরি তীরে ডাকে চক্রবাকেরে তোরি সে চক্রবাকী।
কূল ছেড়ে যায় অভিসারী পথে, মরণাকূলে ভাসী
ভেসে ভেসে পথে কখনো ইচ্ছে ছুটে সে হয়েছে উদাসী।
      দিক হতে দিকে হয়েছে পথের দিশারী--
                 কখনো বধু বেশে কখনো বা অন্তঃসত্বা নারী।