স্বপ্ননীল ও স্বপ্ননীল হেটে চলেছো কোথা
সুদূর সমুদ্রের পরপারে,
যাবে কি সেথা ?
আনবে কি সংবাদ ?
স্তব্ধ নেত্র খুলি,
মাঝে মাঝে আসবে কিন্তু,
চরন দুটি দুলি।
তোমার পরশে কতশত আনাগোনা
অবেলার সন্ধায়,
প্রভাতের আলো খুলেছে যেন
জীবনের নতুন অধ্যায় ।
তোমাতে বিভোর নিশিদিন নিরন্তর জগৎ
আজি উদ্বিগ্ত চঞ্চল,
পথে-পরে থাকা কীট জেগেছে
অধরে পান্থদল ।
মৃত্যুর মুখে পতিত বুড়ো
বেধেছে স্বপ্ন বাসা,
কত আলো কত ছায়া কত জীবনের--
ক্ষুদ্রতর গীতিময় ভাষা ।
শত শত সুখে দুঃখে জীবনের
ক্লান্ত মর্মের বেদনা,
চির দিবস রজনী কাটিয়ে দিয়ে
তোমাকে নিয়েই সাধনা।
জ্বলিছে অন্তর তরে প্রভাতে
সূর্যের কিরণ,
অধমের ধর্ম তুমি
         নিধনের সহস্র ধন।
সমীর কম্পিত মন নির্বিশেষে
ওঠাও জেগে,
কখনো বা রিক্ত জীবন ছোটাও
প্রাণপূর্ণ বেগে।
ক-ল শব্দের মুখরিত তীরের উর্মি গুলি
তালে তালে ওঠে বাজে,
সেই ধ্বনি কি-করে ধ্বনিয়া তুলিছো
মানব বক্ষের মাঝে।
অশ্রান্ত ধ্বনি অবিশ্রামে বাজিতেছে
সুগভীর সমতানে,
দিবা রাত্রি ধুক ধুক হৃদয়পাঞ্জর
বক্ষোথানে।
গীতগুলি যেন বাজাও মনে
অবিচলন নীল স্বপ্ন,
এ কী দৃষ্টি তুমি সৃষ্টি করিলে
ধরনী দিবারত্ন।
নির্নিমেষে নেত্র পানে
        ক্ষনিকে নিরব সাধনা,
নিস্তব্ধ আসনে বসি, একাগ্রে
করে তাই আরাধনা।
চপল চঞ্চল মন তোমার পরশে
স্থীর নাহি থাকে,
উড়ে উড়ে যায় যেন পিঞ্জর ভাঙ্গিয়া
নবনব শাখে।
ভুলিতে নাহি পারি তোমারে চাহিয়া
থাকি শূন্য পথে,
অচৈতন্য প্রেয়সীর অবহেলে লয়ে
কোলে অন্ধকার রথে।।