বিকেলের সব রঙ মুছে যাওয়ার আগেই
এখনো কি ব্যালকনির দেয়াল ঘেঁষে দাড়াও তুমি?
হংস বলাকার প্রণয় দ্যাখো ভীষণ অভিমানে ;
ভাসো আকাশ নীলে টুকরো উদভ্রান্ত মেঘের দলে,
তোমার লাল শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে -
সে কি ভীষন রকম মেঘ!
মুহূর্তে উড়ে যায় লিলুয়া বাতাসে।
চাঁদের আহ্বানে সূর্য ডোবে-
এই নৈঃশব্দ্য বারুদের শহরে ;
প্রণয়ের উত্তাল নিশাচর জাহ্নবী, এখনো ডানা ঝাপটায়;
হৃদয়ের দোহারে বাঁধন খুলে দাও ।
জাফরান রঙের আলোই জ্যোৎস্নার দাগে -
নিটোল বুকে আঁকো প্রণয়ের শেষ ছবি।
জোনাকির আলোই আসো তিলোত্তমা চিরহরিৎ বনে;
রাখো আলতা মাখা পা রাতের জ্যোৎস্না ধোয়া সবুজ ঘাসে।
ভোরের শিউলিতে ঝুলে থাকো বিন্দু বিন্দু শিশিরের-
ফোঁটার মতোই চোখের জল হয়ে:
ভরাট করো শতশত পিপাসিত সুমদ্র বহ্ম।
আর লাল নীল গোলাপী মোহরের রক্তে-
বুকের কবোষ্ণ অক্ষরে :
অভিসারে লিখো আর একটি প্রণয় পত্র।
জানি ভুল দরজায় কড়া নেড়ে ফিরে আসবে;
আর সিন্দুকে জমা হবে আগামীর অমোঘ জমাট বিশ্বাস।
আবারো জ্বলন্ত মোমবাতির সাথে গলে যাবে যত তত স্বপ্ন!
মৃত শামুকের মতো হেমন্তের শেষে শীত এসেছে:
নতুনের টানে সবুজ পাতারা হলুদ হচ্ছে ,
আর তোমার দীঘল চোখের নতুন সূর্যও -
আড়চোখে দ্যাখে,
নিস্ফলক বিস্মৃতির ফাঁকে বিছানা জুড়ে পরাগমিলনের খুনসুটি !!