গোধূলির আকাশে আলো-কিশোরী হয়ে মেতেছে সেকরা বসন্ত,
মন্দিরের দীঘির পাড়ে ঝুলন্ত বাবলার জল-ছোঁয়া নিচু ডালে-
আবারো নতুন করে বাঁধা বসন্ত-বাসন্তীর রাজকীয় বাস।
মুহূর্তের মেঘ অতঃপর কাল বৈশাখী ঝড়।
বসন্তের শেওলা ধরা বিষণ্ণ চোঁখ আজ যেন চিমনীর ধোঁয়া।
চাঁদহীন অন্ধকার রাতে বাসন্তী খুঁজে ফেরে আকাশ গঙ্গা !
আর বসন্ত ভাবে-
ইতিহাসের অধ্যায় বদলে আমারও কি কোনো ভূমিকা ছিল ?
গোটা দুনিয়াই তো আজ নীড়ের অভাব !
হয়তো তোমার আমার থেকে এডওয়ার্ডিয়ান মডেলের কাপবোর্ড অনেক বেশিই ভালো!
বাসন্তী , তুমি কি দেখছো এভাবে?
তোমার আমার দু'চোখ কোন যন্ত্রের ঘরে যন্ত্রণা নয় !
পৃথিবী তো এখনো শতভাগ ক্লিষ্ট হয়ে যায়নি -
এতো প্রকৃতির দান !
বরং এই মধুর রাতটিতে তুমি-আমি দীঘির জলে ফোঁটা পদ্ম দেখি,
দেখি প্রলয় ঝড়ে জলে ভ'রে ডুবে যাওয়া আমাদের রাজপ্রাসাদ ।
তোমার - আমার সমস্ত শরীরে বয়ে যাওয়া উত্তাল শিহরণ-
হয়তো সহসা মিলিয়ে যাবে একদিন শূন্যে থেকে শূন্যে।
তাহলে কিসের এতো ভয় ? বাঁচতে চাও ?
শুনতে কি পাও আজ মন্দিরে শঙ্খও বাজে না,
আর দেবতাও জাগে না !
আঁকেনা কপালে আজ রক্ত চন্দন !
ওই যে আকাশে উঠছে আজ দ্বিতীয়ার চাঁদ ,
কিছুহ্মণের ভিতরেই ভোর হবে ।
অন্দরমহল থেকে সোনার কলস কাঁখে রাজদাসীরা আসবে দীঘির ঘাটে ।
জলের ঢেউয়ে ভাসে যাবে আমাদের রাজপ্রাসাদ !
মালিনীর সোনার থালায় পূজার ফুল সাঁজাবে-
সুখ দুঃখের ঘন্টা ধ্বনিতে ধূপের গন্ধে ভাসবে
তোমার - আমার বিষণ্ণ এক নিথর হৃদয় ।
হয়তো আমরা আবারো নতুন স্বপ্ন দেখবো
তোমায় বুকে নিয়ে বলবো-
চলে আবারো গড়ি এক পৃথিবী দূরে আমাদের স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ ।
যেখানে নাই কুঠারের আঘাত ,নির্মোক বিলাসিতার আঘাত , প্রকৃতির আঘাত !!!
চল তুমি -আমি অন্য কোথাও !!!!