সেই প্রথম কবে দেখা - প্রেমিকার ডাগর কাল চোখ !
চন্দনবাটা শরীরিগন্ধে যৌবন গরিমায় জেগে উঠেছিল-
কিশোরের নিঃসর্গ প্রেম !
আনমনে ছুঁয়ে ছিল প্রথম প্রেমের গোপন বিলাস !
খুব বেশি দূরে নয় - হয়তো খুব কাছেই ;
মাঠ পেরোলেই সরকার বাড়ি থেকে -
শঙ্খ, কাসর, ঢাক, ঢোলের আওয়াজ ভেসে আসে ,
নব যৌবনের মাতাল টানে ছুটে চলে কল্পনায় ভেলা
সুতীব্র সুখের শ্রাবণ-ধারা বয়ে চলে ধমনিতে ।
শত শত চোখের দৃষ্টি পেরিয়ে ;
কিশোর - কিশোরীর
চারটি চোখ মিলেছিল নারিকেলের পাতার ফাঁকে।
হৃদপৃন্ডের ভিতর নীরব হারমোনিয়াম ও সরব হয়েছিল সেদিন ,
কি-প্যাডের কি গুলো বুকের ভিতর বার বার ধাক্কা দিয়ে-
প্রেমের রক্ত বন্যাই ভাসিয়েছিল ।
গীত গানে মুখরিত ছিল হেমন্তের সন্ধ্যা ,
চিরিদিকে বিদ্যুতিক আলোর ছটা ;
আর পাশেই ছিল নিরন্ন ভোজের আয়োজন !
ঈশ্বর বন্দনায় শত শত মানুষগুলোর হৃদয় জড়িয়ে ছিল -
পরজন্মের সুখ - দুঃখের আলিঙ্গনে !
শুধু চারটি চোখ শূন্যে ছুড়ে ছিল আপেক্ষিক ভালবাসা সূত্র !
সেখানে ছিল আশ্রয় খোঁজার এক নিরন্তর সংগ্রাম !
কিন্তু ভাবলেশহীন দূর্বা ঘাসের বাঁধুনির ফাঁকে অবাক চোখে
কিশোর - কিশোরী দেখে ছিল চন্দন কাঠের যজ্ঞে তাদের মুহূর্তের ভালোবাসার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার উৎসব।
এখনো হেমন্ত আসে !
সরকার বাড়ি থেকে শঙ্কের আওয়াজ ভেসে আসে !
শত শত মানুষ ঈশ্বর বন্দনায় মিলিত হয় !
কিন্তু কোথায় ?
সেই নারিকেলের পাতার ফাঁকে রাখা চারটি চোখ !!!!
সেই প্রথম কবে দেখা !!!!


প্রদীপ দাস
২৯ অগাস্ট - ২০১৭