প্রলয়ের উদগ্র যৌবন বাসনায়
আকাশে কৃষ্ণ পাহাড় হবো;
মিশে যাবে রাশি রাশি মেঘেদের দলে।
অতঃপর কাঙ্খিত অবিরাম বারি বরিষণ !
শেষ হবে বুকে জমা দীঘ্র রজনীর অপেহ্মার নিস্পেষণ।
আসবে প্রণয়ের রাত ,সেই মহেন্দ্রক্ষন;
গোলাপি অধরে এঁকে দিব শেষ চুম্বন।
তবুও মিথ্যার ভুলে ভরা মিথক্রিয়ায়:
বিনিদ্র রজনী পেরিয়ে আকণ্ঠ তৃষ্ণায় -
আবারও মুখোমুখি হবো;
বুকের ভেতর আলোক সম্ভারে
জাগবে বিষাদের সন্ধ্যাতারা।
আমরা চাইলেও ঘুমাতে পারবো না !
আমাদের চোখের চেয়াল জুড়ে মৃত শ্যাওলা জমবে।
ডাসবিনে জমে যাবে শত শত রামেলটিনের খোসা;
মিললের চপল নেশায় ঘুঙুরের নৃশংসতা ভেঙে
নীরব আঘাতে রুধিরঞ্জিত পায়ে তুমিও-
হেটে যাবে বনানীর ভুল পথে।
কোথায় আমাদের নিষিদ্ধ সীমানা ?
শুনতে পাও নির্ঝরের ঝিরিঝিরি শব্দ;
বদ্ধ জানালা খুলে দেখো -
আবারও বসন্ত এসে গেছে ।
গাছের সবুজ শিরা গুলো শুকিয়ে বাসন্তী রঙে সেজেছে!
তুমি কেমন করে পারো?
কতদিন দুচোখ ভরে দেখো না ম্যানহ্যাটানের বিশাল নীল আকাশ।
আমাদের অবহেলায় কি গভীর মেঘ জমেছে নীলে!
জানি রোমন্থন করো না !
তবুও অরিগনের মাল্টনোমাহতে ডোবানো থাকবে-
আমাদের তেইশের পাপ ।