এক সুমুদ্র বসন্ত পেরিয়ে কোন সুদূরে-
তুমি কেমন আছো;
কেমন আছে তোমার মর্ত্য বিনাশের -
অবিনশ্বর ডাগর কালো চোখ।
রঙিন ফিতায় বাঁধা সর্পচূড়া কুমারী বিনুনি।
কেমন আছে তোমার কপালের ছোট্র কালো টিপ;
আর ক্যানভাসে আঁকা গোলাপ রঙের ঠোঁট।।
কেমন আছে আলতা রাঙা কাঁচা হলুদ পা,
আর লাউ ডোগার মতো নরম দুটি হাত !
কেমন আছে ;
সেই ভিক্টোরিয়ার কংক্রিটের শুভ্র দেয়াল।
আর লাল ইটের খোয়ার দাগে লেখা নাম।।
কেমন আছে পৌষের কনকনে শীতের সকাল-
বিস্তীর্ণ মাঠে ভরা হলুদ সরিষা ফুল।
কেমন আছে চিত্রা নদীর ঘাট
আর সুরহীন সোনালী অরগান।
কেমন আছে ভঙ্গুর ডেস্কের গোপন দেরাজে রাখা চিঠি।
কেমন আছে -সেই গল্পের অনুমিতা
খুব জানতে ইচ্ছা করছে ঃ কেমন আছে সব!
তোমাকে ছুঁয়ে দেওয়ার কল্পিত ইচ্ছায় -
মস্তিষ্কের নিউরণে জমেছে বিমূর্ত জলরঙ।
আঁখিদ্বারে জলস্ফিতির ধারায় -
কাটিয়েছি বিস্মৃতির এক যুগ রাত ।
তারপরও অমিত-লাবণ্যের শেষের কবিতার ভাঁজে
ময়ূরের ডানাই দিন রাত্রির প্রেম জমা রেখেছি !
এখনো শেষ বিকালের রূপালি আলোয়
চোখ খুলে রাখি- যদি তুমি আসো,
আমার জানালায় ছুঁয়ে দাও মানবিক দুটি আঁখি!