তুমি এসো,
মন খারাপ করে হলেও একটি বার
জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে, বিজয়ের তাতালো উৎসবে।
এসো, ছায়ানটের বলিহারি নাচে-গানে
ফিরে এসো হৃদয়ে আমার।


তুমি এসো, কুর্মিটোলার বস্তিতে এসো
তুমি এসো, আহত বিহারিপল্লীতে এসো
রক্ত-সায়রে স্নান করে এসো
চোখজুড়ে এসো অশ্রুর বন্যায়।


তুমি সার্বভৌমত্বহীন মাটিতে এসো
উদোম, লুন্ঠিত কুঁড়েঘরে এসো
সরস বালিকার চোখে এসো
সহসা চকিত বুকে এসো
শেষ করে হলেও একটি বার, এসো
প্রজ্জ্বল অপরাহ্ন বেলা, নবান্নে।


তুমি এসো, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসো
তুমি এসো, একাডেমির খোলা প্রাঙ্গণে এসো
শহীদ মিনারের বেদীতে এসো
স্মৃতি সৌধের স্তম্ভে এসো
এসো, পুরোনো বিমান বন্দরে এসো
ইডেন কলেজের অন্দরে এসো
এসো, নিউমার্কেটের লোকারণ্যে, সন্ধায়।


তুমি এসো, জ্বেলে এসো ডান হাতে ডিবা
তাড়িয়ে এসো বাম পাশে আততায়ী।
কষ্ট হলেও সহ্য করে এসো
বন্ধুর পথে ধৈর্য্য ধরে এসো
এই মধ্য বয়সী অমিমাংসীত বুকে
তু‌মি নবজাতকের কান্না হয়েই এসো।


স্বাধীনতা, তুমি এসো
শহরের শেষ মানুষটি ঘরে ফিরে গেলে
আমি তোমার জন্য খুবই ব্যাকুল হই।
অপসৃয়মান সেই স্মৃতির দিকে তাকিয়ে
স্বীয় হৃদয়ে জাগাই বেদনা, তুমি এসো_
দেখে যাও, আমার ঘরে বধ্যভূমির হাড়!