কে তুমি অলিন্দে দাঁড়িয়ে আছো?
বিরহী প্রেমপত্রের প্রশস্ত কাতরোক্তি-
বুকের ভিতরে চেপে ধরে আছো।
দুঃসময়,
আমি তোমায় বড়ো বেশি ভালোবাসি
-শূন্য পকেটে আগলে রেখেছি অশ্রুধারা!


প্রিয়তমার মুখের শেষ হাসি আমি দেখেছি
সহস্র বছর আগের কোনো এক শ্রাবণে।
সেই সুখস্মৃতি যাতনার নাগপাশে পোড়ে
মানিব্যাগে ছাই নিয়ে বসে আছি
শাহবাগের ফুটপাত থেকে-
একটি নতুন কবিতার বই কিনবো বলে।
দেউলিয়াপনার শেষ রাস্তা পেড়িয়ে
একশো গজ বাইরে এসেছি তাই;
ছোঁতে গেছি, হাত বাড়ানোর সামান্য আগেই
দামী ওয়ার্ডরোবে উঠে গেছে পঙক্তি।


অতঃপর, নিঃস্ব বুকে শূন্যতার প্রচ্ছদ একে
প্রতীক্ষার কালো পুস্তকে রাত জেগে আছি।
পরিপূর্ণ যাতনাময় বর্ণমালা নিয়ে
তুমি অন্তঃপুরে চলে এসো।
দুঃসময়,
আমি তোমায় বড়ো বেশি ভালোবাসি
-নিরাশার খাটে সাজিয়ে রেখেছি বাসর!