কল্যানী, আমাকে তোমার বিবেকের সুতো ধরতে দাও,
আমি মানুষের চোখের আরাধ্য স্বপ্ন হবো।
সকালে না হোক দুপুরে কিংবা পরিশুদ্ধ বিকেলে
আমি মানুষের চোখেই প্রত্যাশার কথা বুনবো;
তারপর, যাপিত জীবনের স্যাঁতস্যাঁতে আঙিনায়
খুচিয়ে জাগাবো মসৃণ আগামীর অঙ্কুর।


তুমিতো জানো না, কেউ কাউকে ভালোবাসেনি রাতে।
কেউ কাউকে পায়নি কখনো নিগূঢ় অরণ্যে, সন্ধায়!
শুধু তুমি আর আমি অন্যরকম মানুষ হবো বলে
দিনে, রাতে, দূর পৃথিবীর অন্যরকম গোধূলিতেও
অপেক্ষায় ছিলাম ব্যতিক্রমী নবজন্ম সভ্যতার।
এক শতাব্দী প্রতীক্ষার পালা শেষে
আজ আমার শ্মশ্রুমন্ডীত অবয়ব জুড়ে
নেমে এসেছে পৃথিবীর শেষ সূর্যাস্ত;
তোমার প্রশস্ত বুকে আছড়ে পড়েছে
খুটে খাওয়া নখের ঊনিষটি বয়োবৃদ্ধ আঁচড়!


আর কতো কল্যানী!!
এবার চলো বিপ্লব আনি গাভীন ক্ষেতে, শহরে, বন্দরে।
চলো ভাসমান নৌকোয় বিপ্লব আনি
বিপ্লব আনি মাস্তুলে, অব্যবহৃত নোঙরে
কিষাণী বধূর তামার নোলকে বিপ্লব আনি
অন্তত আরেকটি বার, অন্তত এই শেষবার, অন্তত...


কল্যানী, আমাকে তোমার বিবেকের সুতো ধরতে দাও,
শেষ করে হলেও দিতে দাও আলতু টান।
আমি নিঃসঙ্গ দৃষ্টিপাতের নুনা নির্যাস খেতে খেতে
দেখতে চাই-মানুষের চোখেও স্বপ্ন আছে কি না!