তোমার শখ্য কখনো পাইনি আমি, তাই বলে ভেবো না
বারংবার রঙ-বদলের খেলায় আমি হেরে যাবো।
নারী, তোমার রূপের মোহে দিশাহীন হয় না কবি,
একটু গভীরভাবে আপ্লুত হয় শুধু।
কোনো বিনিদ্র রাত স্বপ্নঘোরে কেটে যাবার পর
তুমি অনন্য গল্প হও
-তাই কি পঙক্তির হাত ছেড়ে করো মিছে অহংকার!


একবিংশ শতাব্দীর দগ্ধ সময়েও বেঁচে থাকে রুগ্ন বিবেক
সৌম্য মেঘের জাল কাঁটে সৌদামিনীর ক্রোধ
পোড়ে যায় গভর্নমেন্ট জবের নির্ধারিত সব কোঠা। নম্র,
আনাড়ি যুবকের শহরে আসার আবেগীয় সাধ
ঝোলাব্যাগ কাঁধে ফিরে যায় মফস্সল,
নষ্ট হয় একজোড়া ঢাগর আঁখির আলো।
দৃষ্টিসীমার মাঝে
চাইলেও আর হয় না নৌকা পারাবার;
দেখে না,
চিৎ হয়ে ভেসে যাওয়া নববধুর শব!
চিত্তাকর্ষক শেষ অঙ্কটুকু ঝুলিয়ে রেখে মঞ্চে
লাঞ্ছিতা নর্তকী ফি‌রে এ‌লে ঘ‌রে-
বেকার ছেলেটিও খোঁজে খুনখারাপির  সরঞ্জাম!


ইশারায় ডেকো না আমায়। দুঃসময়,
আমি চাকরি চাই না।
আমি কিছু শুদ্ধ শব্দ চাই শুধু,
চাই কিছু বিষ্ঠাবর্জিত লাবণ্য!
একটি গবেষণালব্দ আইডিয়া
হৃদ-গভীরে স্থায়ী হবার পর তোমায় ভাবতে চাই, আঁকতে চাই
তোমার বহুরূপী অবয়ব, অস্পর্শী ছায়া।
যে বন্ধুটি অভাব সামলাতে বখে যাচ্ছে রাতে
তার হাতে তুলে দিতে চাই ঊনষাটটি কবিতার স্বত্ব
মায়ের জন্য ঔষধ, বাবার সাত দিনের হাত-খরচ।
তোমার ভরা রূপ প্রদর্শন করতে চাই হাঁটে।


আমি কবি, অখ্যাত হলেও দিশেহারা নই।
তুমি এবার থামো, শান্ত করো রঙ-বদলের স্পন্দন।
আমার কলমের কালি, খাতার উগ্র-ধবল পাতা
তুমি নিরব হলেই সভ্য হয়, উষর মৃত্তিকা উর্বর হয়।


-নারী, বর্ধিত কল্পনা হতে, তুমি গিরগিটি হলে কেন?