ইচ্ছে ছিল-
পৃথিবীর বুক থেকে ভালোবাসা কুড়িয়ে এনে
তোমার চরণে সমর্পণ করবো।
তাকে খুঁজে পাওয়ার জন্যই আমার এই ব্যস্ততা।
পিঁপড়ের মত কিছুটা সঞ্চয় ও করেছিলাম।
মাঝপথে এসে দেখি আমার অবস্থা মৌ-রাণীর মত!
যতদিন যাচ্ছে, ক্রমশই তা দৃশ্যমান হচ্ছে।
ভোরের আকাশে ফোটা রক্তজবা-
সন্ধ্যার আকাশে বিলীন করে তার অস্তিত্ব!
অন্ধকারের আলোয় নিমজ্জিত হয় দিনের কোলাহল।
জোনাকির আলোয় চলে-
ক্লান্তিকে ভুলে থাকার বৃথা চেষ্টা!
বুকভরা হতাশাকে সঙ্গ দেয় নিকোটিন।
মুখথেকে নির্গমন হওয়া ধোঁয়ার কুণ্ডলী -
বিষাক্ত করে তোলে আমাদের বায়ুমণ্ডল।
ধীরেধীরে মহাশূন্যে জমতে থাকে মেঘের আস্তরণ।
একসময় তারাও অভিমানে গর্জে উঠে-
স্তব্দ করে দেয় অনেকের হৃদ-স্পন্দন।
আকাশের বুক থেকে ঝরে পড়া জলকণা
নিয়ে আসে শান্তির সুবাতাস।
জমে থাকা ধুলোগুলোকে ভাসিয়ে নিয়ে
সবুজের শ্রী বৃদ্ধি করে।
কিছুদিন পর,তার প্রচেষ্টাও হারিয়ে যায় কালের গহ্বরে।
বৃথা হয় সমাজকে বিশুদ্ধ করার প্রচেষ্টা।