আর'তো মাত্র কয়টা দিন-
তারপর, তারপর ভূ-গর্ভস্থ হয়ে যাবে আমার অস্তিত্ব।
নীলিমার নীল হয়ে ভেসে বেড়াবো অন্তরীক্ষের বুকে।
ঈশান কোণের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে দেখবো তোমাদের বিচরণ।
যেদিন আমি হারিয়ে যাবো নক্ষত্রের ভীড়ে-
সেদিন হয়তো তোমাদের আড্ডার আসরে উপপাদ্য হবো।
আমার নামের আগে অথবা পরে হয়তো কত বিশেষণ যোগ করবে।
বর্তমানে যারা আমার প্রতি অভিমান করে আছেন -
সত্যি বলছি, তারা আমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন।
কাঁটাহীন গোলাপও যেমন কিছুদিন পর্যন্ত সৌরভ ছড়িয়ে তার অস্তিত্ব জানান দেয়-
আমারও ঠিক সেরূপ অবস্থা!
আমার প্রয়াণে অনেকের হৃদয়ে বিষাদের বীণা বেজে উঠবে।
তাদের অভিব্যক্তিগুলো কণ্ঠনালীতে এসে থমকে যাবে-
কিন্তু নয়নের বারি বর্ষণ করবেনা কেউ।
কারণ তারা আমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন।
যদি দেখ, ভুল করেও কারো চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে-
তাহলে বুঝে নিও, তিনি আমাকে ভালোবাসেন না।
আমি হলাম সকালে ঝরে পড়া শিশির।
ঘড়ির কাঁটা যদি কখনো থামিয়ে দেয়া হয়-
তাহলে কি পৃথিবীর বুকে অন্ধকার নামবে না?
ভালোবাসার রঙ লাল, যৌবনের সবুজ, শান্তির সাদা,শোকের কালো-
কষ্টের নীল, হিংসার হলুদ, কিন্তু-
কেউ কি বলতে পারবে মৃত্যুর রঙ কী?
মৃত্যু সে'তো দেহ ত্যাগের মাধ্যম মাত্র।
আত্মা, বড় থেকে ছোট কিংবা ছোট থেকে বড়-
এই হিসেব করে দেহ ত্যাগ করে না।
সে তার ইচ্ছামত শরীরকে মুক্তি প্রদান করে।