আমার এই কবিতাটা আমি কলকাতা বারাসাতে অবস্থানরত অবসর প্রাপ্ত সাংবাদিক কবি বন্ধু সৈয়দ আশরার আহমেদ রুমি ভাইয়ের প্রয়াত সহধর্মিণীকে উৎসর্গ করলাম।


তুমি নেই বলে
প্রণয় আচার্য্য
গদ্য কবিতা
------------------------------------
তোমাকে দেখবো বলে,
বহুদিন পর,আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
অন্তরীক্ষের বুকে অজস্র নক্ষত্রের ছড়াছড়ি।
নক্ষত্রের ভিড়ে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছ তুমি!
তোমাকে একপলক দেখার জন্যে-
অশান্ত হয়ে পড়েছে আমার দুটি চোখ।
চোখের পাপড়ি ভিজে গড়িয়ে পড়ছে অশ্রুকণা।
দখিণা বাতাসে ভেসে বেড়ানো অম্বুদগুলো
মাঝে মাঝে আড়াল করে দেয় তোমাকে।
তুমিতো ছিলে আমার অমানিশার আলো হয়ে।
তোমার দীপ্তিময় জ্যোতি জড়িয়ে আছে আমার সর্বাঙ্গে
তোমার আলোয় আলোকিত করেছ আমার ভুবন।


বুকের মাঝে নাড়া দিচ্ছে -
তোমার ফেলে যাওয়া হাজার স্মৃতি।
জীবনের অনেকখানি পথ পাড়ি দিয়েছি তোমার সাথে
চলার পথে অনেকবার ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম আমি।
তুমিই আমাকে চলার জন্য শক্তি যুগিয়েছ
প্রেরণা দিয়েছ গন্তব্যে পৌঁছার!
ভুল পথ থেকে টেনে তুলেছ বহুবার।
তোমার কাছথেকেই শিখেছি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা।
তোমার ছোটো ছোট অনেক চাওয়াই -
পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছি।
তোমার একটু একটু খুনসুটি, অভিমান, আবদার
সবকিছু মিলে আমি ছিলাম স্বর্গের রাজা।
তুমি ছিলে আমার রাজ্যের অপ্সরা, উর্বশী।
তোমার কাজল কালো দুটি চোখের তারায়-
ভালোবাসার গভীরতা দেখে -
নিজেকে নিজেই হারিয়ে ফেলেছি তাতে।


আজ তুমি নেই বলে-
স্মৃতির পাতা থেকে কথাগুলো খুব মনে পড়ছে।
আমার শূন্য মনে ভিড় করেছে অসংখ্য অম্বুদের স্তুপ!
একাকীত্ব এসে গ্রাস করেছে আমার অন্তরীক্ষে।
যখন বিষণ্ণতা এসে ঘিরে ধরবে,
আমার দেহ, মন আর শরীরকে-
তখন, কে আমায় সান্তনা দেবে?
কে আমায় নতুন করে চলার প্রেরণা জোগাবে?
এইসব কথা ভাবতে ভাবতে আজ আমি বড্ড ক্লান্ত।