গ্রামের মানুষগুলো নিরিবিলি অতি,
প্রত্যেকে চলে তারা নিয়ে নিজ গতি।
গরু ডাকে, বায়ু বয়, পাখি গান গায়,
মানুষের মুখগুলো অম্লান হাসিময়।


ছেলে-মেয়ে খেলা করে সময়জ্ঞান ভুলে,
অসময়ে এসে তারা খায় পেট পুরে।
মা’সবে হাসিমুখে সদা কাজ করে,
দিন শেষে স্বামী-সন্তান, পেয়ে যায় সবে ভুলে।


বাবা-দাদা সবে তারা সদা কাজ করে,
মাঠ-ঘাট পুকুরের সব কাজই সাড়ে।
বেলা শেষে ঘরে ফিরে হাসিমুখ দেখে,
দিনের ক্লান্তি সব যায় সবে ভুলে।


রাখালেরা ঘুরে বেড়ায় খাওয়া-নাওয়া ভুলে,
মাঠে মাঠে ছাগল-গরু নিয়ে দলে দলে।
রাখালেরা গায় গান নিয়ে নিজ বাঁশি,
প্রকৃতিতে ছড়িয়ে দেয় ফুর্তি রাশি রাশি।


সন্ধ্যায়, পাখিসব কলরবে ফিরে নিজ নীড়ে,
সবশ্রেণির মানুষেরা আসে তারা ফিরে।
একটু সময় পরে তারা বাজারমুখী হয়,
চা-স্টল, দোকানে গল্পের আড্ডা জমায়।


রাত্রি গভীর হলে ঘরে ফিরে আসে,
রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পরে।
এভাবেই দিনগুলো আসে আর যায়,
তাই তো গ্রামের মানুষগুলো প্রশান্তিময়।


সৌভাগ্যবান হই আমি জন্মিয়াছি গ্রামে,
শৈশব কাটিয়েছি গ্রামের ঐ ছায়ে।
শহরে রয়েছি আমি, আছে আশা মনে,
শেষ সময় কাটে ঐ মানুষদের সনে।


@অশেষ ধন্যবাদ