আর কতো কলঙ্কিত করবে আমায় ।
আর কতো লাঞ্ছিত করবে আমায় ।
তবুও আমার নাম সূর্য জানাই তোমাদের।
শেষদিন অবধি আলো দিয়ে যাবে
এই প্রতিশ্রুতি হলো প্রভাকরের ।
যতো কালিমা দাও না তোমরা মোরে ।
আমার গতি কি থামাতে পেরেছ কোন বারে ?
আমি দেখি কত আসহায় শিশু, পুত্রী, বৃ্দ্ধ ।
অবারিত হয়ে চলেছে অবহেলিত ।
কন্যার সতীত্বনাশ দেখি দুষ্ট পিতার নিকটে ।
জননী উপেক্ষিত চরিত্রহীন পুত্রের কটুকাটব্যে ।
ভগিনীর জীবন কর তোমরা অন্ধকারচ্ছন্ন ।
নেশার আসক্তিতে তার সম্মানও তুচ্ছ ?
পত্নী যে স্বীকার হয় বাজির আসরে ।
তোমরা কেমন পুরুষ এই ধরণী মাঝারে ?
ভেবেছ আমায় ফাঁকি দেবে তোমরা নরাধম ।
দৃষ্টিহীন তোমরা , হয়েছে তোমাদের মতিভ্রম ।
দেখি আমি শিক্ষাগুরু লাঞ্ছিত হয় শিক্ষাপ্রাঙ্গনে ।
হে তরুন বিদ্যার্থী তোমাদের জন্য দুঃখ হয় মনে মনে।
দরিদ্রকে পিষ্ট করে গড় সূখের তাজমহল ।
কি সুখ পেলে তুমি? হারিয়েছ তোমার অর্ধেক জীবন।
হে মানব সমাজ সম্পদের জন্য যুদ্ধ কর তোমরা অবিরত।
বিনাস অতি সমীপে তোমাদের এ কথা জেনে রেখো ।
প্রণয় দেখেছ তোমরা আমার কালের ধারাবাহিকতায় ।
পাপ কে আশ্রয় করোনা, জ্ঞান কে সম্মৃদ্ধ কর বিভিন্ন পন্থায় ।
সমর্পিত করো তোমাদের সততা ,পরিশ্রম , আর ঐক্যতায় ।
করোনা কুমারীদের লাঞ্ছনা, করোনা গুরুদের অপমান ।
কন্যাকে বিদ্রোহীণী রূপ দাও, মাতাকে করো সম্মান।
তার আশ্রু হয়ে থেকোনা,
ভালোবাসে অনেক তোমাকে তোমার ভগিনী ।
পত্নীকে দাসী করোনা, করে নাও অর্ধাঙ্গিণী ।
বৃদ্ধকে করোনা অমর্যাদা, করোনা অযত্ন ।
মনে রেখো তুমিও একদিন হবে বৃদ্ধবয়স্ক ।
তুমি যতই কলঙ্কিত করো মোরে ।
তোমা্দের দুর্গতি আমি বলে যাব যুগ যুগ ধরে ।
আর যখন আমার সহিষ্ণুতা হবে ভগ্ন।
অগ্নিমুর্তি দেখবে তোমরা আমার, হবে মরণাপন্ন ।
মনে রেখো আমার নাম সূর্য ।