জ্যোতিহীন আমি এক ক্লান্ত প্রদীপ
পারিনা দিতে আলো আমি, তাই আমার স্থান এই অন্ধকার দ্বীপ ।
স্পর্শ করোনা আমায়, দিয়োনা গো তোমার হস্ত ।
নতুবা হবে যে তুমি কালিমালিপ্ত ।
আলোর দুনিয়ায় কত যে করেছি পাপ।
এই বার্ধক্যে বিষবাণ হয়ে আঘাত হানে যত অভিশাপ।
বুঝেও না বোঝার, দেখেও না দেখার ভান করেছি জনমভর।
মোর সম্মুখে কত বরফসম বুক ফেটে গেছে,গড়ে ওঠেছে অশ্রুর সাগর ।
আমার এই ক্ষীণ আলো দিয়ে আজীবন মৌনতার পরীক্ষা দিয়ে গেলাম ।
বিনিময়ে আত্মদংশনে দংশিত হ্রদয়ে অভিশাপের বোঝা বাড়াতে লাগলাম।
দেখেছি আমি বাজিতে পরাজিত পুরুষ অনবরত ধন সম্পদ হারিয়ে থাকে ।
তারই ফলে অনাহারে কষ্ট পায় কতো নারী কত মাতা ধুকে ধুকে ।
সৎ বা অসৎ যেই স্বামী পরিবার ছেড়ে চলে যায় জগতে কত ।
কিন্তু সংসারের দায়িত্ব শুধু নারীরাই নেয়, করে চলে সঙ্ঘর্ষ ।
জগতে আমি কত যুদ্ধ দেখে গেলাম, ন্যায় বলো আর অন্যায় ।
পরাজিত নগরীর নারীরা বলৎকার হয় ,এ নিয়ম কোন শাস্ত্রে আছে বলোত আমায়!
সৈনিক যুদ্ধে মারা যায় ,চোর শুলে চড়ে, আরো কত স্বামী মারা যায় ।
কিন্তু ;পরিবারের সবাই বিধবা হয়না ,একমাত্র স্ত্রী বিধবা হয় ।
আমি তো ছিলাম ক্ষীণ , ছিলনা তো তেজ সূর্য সম ।
কিন্তু তোমরা কি করছ ? বুকে নিয়ে সাহস সিংহসম?
সারল্য দেখাও একমাত্র ঈশ্বর সম্মুখে।
নতুবা পড়বে তুমি মৃত্যুকুপের মুখে ।
জ্ঞান, বুদ্ধি, সাহস, ধর্ম কে কাজে লাগাও সমাজ কল্যাণে ।
নতুবা আমার মতো মৌনতার দণ্ডে দণ্ডিত হবে, এটা ওই অন্তর্যামী জানে ।