পথিক ভীত মনে বলে , এই তুমি শোন।তোমার নাম কি বল?
কিশোরী হেসে বলে, শিউলি।
পথিক ধমকসুরে বলে, একা রাস্তায় ঘুরছ রাতের আধাঁরে। ভয় করছে নাকো ?
কিশোরী আবার হাসিয়া, কিসের ভয় ! জানিনাকো।
পথিক ভীরু কণ্ঠে, ভুত! ছেলেধরা!
কিশোরী মৃদু কণ্ঠে,তেতুল তলায় থাকি । ভুতের ভয় নাইকো। ছেলেধরার ভয় নেই । আমিই তো ছেলে ধরি।
পথিক কৌতুহলে, কি ভাবে? বলত।
কিশোরী আক্ষেপে, বাপে আমায় বেচেঁ দিছে পশ্চিমের ঐ পাড়ায়। একে একে বেটা বুড়া আমার সাথে শোয়।যা হারাবার হারিয়েছি ত। এখন কিসের ভয় বলত? রাত্রি বাজে ১০টা ।ছেলে ধরব কম্পক্ষে ৫ টা। ভোর হলে জাব পাড়ায়। সারাদিন ঘুমাব ,কেউ ডাকবেনা আমায়।
পথিক উচ্চৈস্বরে, কি বলছ এসব ? পাগল হয়েছ নাকি। এটা কি করে সম্ভব কিশোরী।
কিশোরী অশ্রুজলে , গরীবের কপালে এটাই হয় বাবু।
পথিকও ভেজা চোখে , তুমি কি চাওনা মুক্ত হতে?
কিশোরী চিত্কারে, কে দিবে আমায় ঠাই? কে দিবে আমার পেটে ভাত, গায়ের কাপঁড়? সবাই তো চায়- খুলতে কাপড়। একজনও তো দেয়না একটুকু কাপড় আমার অংগ ঢাকার।
পথিক অনুরোধে, যাবে কি আমার সাথে সবুজ দুনিয়ায়? সকলে তোমার অঙ্গকে ঢেকে রাখবে ।দেবে তোমায় মর্যাদা। মুখ লুকিয়ে আর চলতে হবেনা। কেউ বলবে না তোমায় পতিতা।শিউলী ফুলের মত সুবাস ছড়াবে।দিবে না কেউ তোমায় বাধা।
কিশোরী উচ্ছ্বাসে, মুক্ত হব আমি যদি তুমি হাত বাড়াঁও। এই পাপের দুনিয়ায় আমি থাকতে চাইনা । আমায় তুমি নিয়ে যাও ।