জানালার পর বিস্তৃত উঠোন গলে
ধেয়ে আসে সুঘ্রাণ, হাসি; আর অদ্ভুত
এক মুঠো নরম স্নেহের গায়ে, গতরে
অগণিত সোহাগ, শবনমের অসংখ্য বুদবুদ!


একরাশ কোমল সমীরণ উড়ে আসে,
গায়ে মেখে আনে কিছু নরম অনুভুতি;
এমন কোমলতা! যেন প্রবালের গায়ে বসবাসকারী
মখমল শেওলা, যারা আদতেই কোমলমতি।


ক্ষণিক মাখামাখি, বরফকুচি সফেদ বিছানায়,
আমি, মুঠো আবেগ আর সেই কোমলতা;
তারপরই সব মিছে, নিছক ইন্দ্রিয় তাড়না!
মিছে কাঁদা খোঁচা ছাড়া আর কিছু না, কেবলই অযথা।


যাচি, এই যে অনুভূতি তোমরা যেয়ো না,
কোমল গোলাপের কাঁটার গায়ে বেঁধে দেবো ঘর,
অকৃত্রিম সুবাস দেবো, শোভিত মেঝে ছুঁয়ে শীতলপাটি,
মনোহরি গীত এবং তারকাখচিত ছাদ দেবো তারপর।


ওহে পাষাণ অনুভূতি, হাত ছুঁয়ে দেখো
রং ছড়ানো অসংখ্য প্রজাপতির উড্ডয়ন চারিধারে;
ওহে আগন্তুক অনুভূতি, ভালোবাসো আমাকে
শুধু আমাকে, নিকষ কালো এই সারাটা রাত ধরে।


তোমরা যেয়ো না আর ফিরে
নিঃসঙ্গ এই কবি মন ছেড়ে।