এটা কোন পথ? যে পথে নিয়ে যেতে চাচ্ছো?
এটা কি সেই পথ, যা নদীর ধার ঘেঁষে এঁকে বেঁকে
চলে গেছে, একদমই সংকোচিত একপেয়ে আলপথ?
সে পথে যাবো না আমি, অভিশপ্ত সন্ধ্যা মোড়ানো
কেবলই অন্ধকার আর অনেক পিচ্ছিল সে পথ।
সে বেলার গান এখনও কানে বাজে, ক্ষুৎপিপাসা
মিশ্রিত কন্ঠে গেয়েছিলো একদল রক্তচোষা কালো ভোমরা।
সে পথে তো বহুবর্ষ অনাহারী সরিসৃপের বসবাস।
মনে কি নেই তোমার, সেই মধ্যরাতের কথা?
ঘনকালো মেঘ আর বজ্রবিদ্যুতে সজ্জিত প্রকৃতি,
নিমেষকাল শান্ত হয়েছিল, আর ঠিক তখনই মুখ থুবড়ে
পড়েছিলো এক মুঠো শবদেহ, একদমই নীরব নিথর অস্তিত্ব।
কাছে গিয়ে দেখেছি, খুব কাছে থেকে,
পিঁপড়ে দল টেনে নিচ্ছিলো, ফেলে দিয়েছিলো নদীতে।


তারপর অশান্ত প্রকৃতির ভয়ংকর প্রকাশ, বজ্রপাতে
আমার মৃত্যু হয়েছিল, বেঁচে যাবার করুণ আকাঙ্ক্ষা
ছিলো বলেই, পানির অনুতে অম্লজান হিসেবে আত্মস্থ
হয়ে, নিতান্তই একা আমি ভালোই আছি।
আবার খোঁচাতে এসেছো, প্রেম দিতে চাচ্ছো আমার
মৃত আত্মাকে! আমি তো সাথে থাকতে চাইনি, বরং
বাঁচতে চেয়েছিলাম। আর এমন ভালোবাসা
সেতো কখনোই চাইনি। তুমি এখন চলে যাও,
আমি যাবো না কোথাও। আর শোনো_
অংশীদারিত্বের প্রকরণে যে হিসেব,
অতীতের লগ্নকাল থেকে বহমান, সেসব রূপকথার
কোন বৈধতা নেই এখানে। আর সত্য তো এই_
হিসেব-নিকেশ আর কবিতা, কখনোই এক বৃন্তে বসতি গড়ে না
এবং কবিরা অবশ্যই কারো শাসনের তাবেদার হতে পারে না।