এই যে আমার দু'হাত, আকাশ ছুঁবে বলে সদা উত্তোলিত
তাতে কোন সাধ অথবা লোভ নেই, কবি সাজার।
অনেকেই অনেকভাবে সভা সমাবেশে ক্রমিক ধরে
নাম ডেকেছে, আমি হাজিরা দেইনি।
কবিতা ভালোবাসি, কেবলই শুনতে চেয়েছি, আজীবন
ধরে শুনতেই চেয়েছি, কেবলই বুঝতে চেয়েছি ভাব
একদম পিছনে বসে অর্থাৎ পিছন সারির শ্রোতা হিসেবে।
অনেক কবিতা সন্ধ্যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে বিশ বছর,
মানসপটে কত ছবিই অঙ্কিত রেখেছি কবিতার নান্দনিকতায়।
আমি আমার পথের স্রষ্টা, বড্ড বন্ধুর আর বনেদি আমার পথ
ভুল পথ কিনা জানি না, তবে তোমাদের পা না বাড়ানোই উচিত।
কারণ পিছলে যেতে পারো তুমি, ফ্যাকাশে এবং বিশ্রী হয়ে
যেতে আলতা সজ্জা কিম্বা মেহেদী সজ্জা, কেটেও
যেতে পারে পা, বহু পুরাতন কোন এক মৃত শামুকের খোলসে।
অনেক ছলনাময়ী নিশিকামী ঝিঁ ঝিঁ এবং জোনাকির
বসবাস এখানে, তারা তোমাকে ভুল পথের সন্দেশ দিতে পারে।
অথবা এমনও হতে পারে, কবিতা শেখাতে চেয়ে এ পথে
চরে বেড়ানো হাতির পাল দেখাতে পারে বিভৎস দাঁত।
সুতরাং তুমি তোমরা ঠিক সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকো
গ্রহণ করো অন্য কোন পথ, অন্য কোন জ্যোসনার মায়াবিদ্যা।
মসৃণ এবং বিস্তৃত অস্তিত্ব ধারন করো, এবং হাত ধরো
এমন অবয়বের যা সহজ, এবং দ্যূতিময়। যা কেবলই ঝলকায়
এবং ঝলসে দেয় দুরূহ ভাবনার ইন্দ্রজাল।
বিশ্বাস করো, অদূর অতীতে আমাকে বুঝতে এসেছিলো
যে টুকরো মেঘ, তাকেও এই একই কথা বলেছি
এবং বলবো ভবিষ্যতকেও। মূলতঃ কবি হওয়ার কোন
যোগ্যতাই আমার নেই, এবং এটা কেবলই মেকি ভাবনা।
ধাতুকে বাতাসে পুড়িয়ে যে পান্ডুলিপি আমি সৃষ্টি করেছি,
কেবলই তা আবৃত্তি করি বারবার
কেননা, আমি কবি হতে চাইনি কখনো, কেবলই হতে চেয়েছি
বাঙালি এবং বাঙলা ভাষার জন্য নিতান্ত এক শব্দ কামার।