অনন্ত আসমানের ধূসর, সাদা, নীলাভ বক্ষে
উজ্জ্বল গর্ভবতী কবি প্রসব করে যাচ্ছে বাহারি সব শব্দ;
ক্রমে-ক্রমে, পরতে-পরতে আকাশের গাত্র ভরে সাজাচ্ছে
একের পর এক, সদ্য পসূত সেই সব শব্দ।
আহা কি রঙ তার, কত রূপ রসে টয়টুম্বুর,
কত যে যৌবন গায়ে, কত ব্যাঞ্জনা তার, কত যে সুর!
কেমন গভীর ভাব, কত যে সুচারু বিন্যাস,
মধুমদ গন্ধ গায়ে তার, কত নিখাদ, কত যে মধুর!
অতঃপর একসময় কবির মৃত্যু হলো, শব্দেরা
মা হারানোর শোকে যখন জ্বরাগ্রস্ত, ঠিক
তখনই আগমন ঘটলো একদল শিল্পীর, আকাশের গা
থেকে খুঁটে নিল নক্ষত্র, হাত বুলালো মাথায়, ছুঁয়ে দিল পিঠ।
পরম স্নেহে অবহেলিত সমগ্র শব্দ, একের পর এক
পরতে পরতে বসিয়ে গাঁথতে লাগলো মালা
কি জাদু হস্তে তার! কলমের আচড়ে, খাতার বক্ষ চিড়ে
অনবরত আঁকতে লাগলো অনবদ্য সব কাব্যমালা!
কত পরিপাটি তার ভাব প্রবাহ, কত যে সসীম তার
দ্যূতি, কত যে নিকষ সেই সুর, কত যে রঙ বাহারি!
প্রচ্ছদে খুঁজে দেখি, প্রেক্ষাপট তার, স্বাধীন অন্ধকার
বেপরোয়া চারপাশ, মূখ্য ভূমিকায় রাত্রি-নদী-নারী।