একদা উষ্ণ চৈত্রের নিশীথে, আমি ফলিয়াছি,
তখন নাকি, মৃদু মলয়ের শরীর বসন্ত গন্ধে ভরিয়াছিল।
প্রকৃতির নিরবতার মাঝেই যে, আমার নিরবতা নির্বাচিত
এই ভাবিয়া আহ্লাদ মাতঃ দু'খানেক অশ্রু ফেলিয়াছিল।
নাড়ি ছিড়ে যাওয়ার ব্যথায় বহিষ্কৃত দীর্ঘশ্বাস ক্ষনে রূপ বদলের
গানে, বাহারি সব স্বপ্নে পরিনত হয়েছিল।
আমি তখন সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু, একখানা অবুঝ জীবন মাত্র
মাতৃমুখে শুনেছি, আমার অস্তিত্ব তখনও নিরব ছিল।
সেই যে নির্বাচিত নিরবতার আচ্ছাদন
আজ অবধি এই আঠারো বছরের তফাতেও ক্ষণিক বদলানোর বৃথা চেষ্টাও করেনি।
নিভৃতে নিরব সত্ত্বাই থেকে গেলাম।
আর, প্রথম প্রকাশের সেই যে নিরবতার মুখোশ আজ শেষ অবধি আমার চামড়ার গঠন হিসেবেই থেকে গেল।
অবশেষে, আজও আমি
সেই চৈত্রের নিশীথের মতই নিরব
একখানা অবুঝ জীবন মাত্র।
এবং ঠিক সেরকমই সেজে আছি, স্রষ্টা আমাকে যেমন অবয়বে সাজিয়েছিল।