তোমার চোখে চমকানো
সেই বিহ্বল হাসির জন্য, আমি মহাকালের
সমস্ত পদার্থের আয়তনে পরিবর্তন বেঁধে দিতে পারি।
ফুল ফোটাতে পারি মৃদু ছন্দে,
সুবাসকে বহুমুখী আর সুবিস্তৃত করে দিতে পারি,
তোমার পরিপার্শ্ব জ্যোৎস্নায় ভরে দিতে পারি।
শাড়ি হিসেবে ওজোন স্তর থেকে নীলের বাহার,
চুড়ি হিসেবে শনি বেষ্টিত পাথুরে বলয়, আর
অপরাহ্নের রক্তিম আভা থেকে রং এনে সিঁদুর পড়াতে পারি।
কিন্তু সত্য তো হলো এই, কবিরা সেই তোমাকে পায় না;
তারা শুধু স্বপ্ন দেখে;
নারীরূপ মরীচিকা তারাও কামনা করে, তবে
স্পর্শ পায় না।
আমিও কবি, প্রজন্মের উচ্ছ্বিষ্ট, তাই ব্যতিক্রম নই;
অযুত বছর শিমুল গাছের নিচে বসে থেকেছি,
সকল সাধারণ শিমুল তুলার কোমলতা পেয়েছে,
শুধু আমিই পাইনি;
শুধু আমিই পাইনি সেই বিহ্বল হাসির স্পর্শ।।