মহত্ত্ব ফুটিতো, যদি সর্বস্ব ত্যাগের মহিমা দেখাতাম।
সর্বস্তরের জটিল প্রাণের সব বন্ধুর ধ্যান ধারণা এবং
মত পথের ধৃষ্টতা, নিমেষেই তাপমাত্রার হাজারের
সীমানা পেরিয়েও সীমাবদ্ধ থাকার অবকাশ করেনি,
বরং পুড়িয়েছে এবং পুড়াচ্ছে, অনবরত। যেন
অনন্তকালের চুক্তিতে তারা আবদ্ধ।
পৌরুষ প্রকাশিত হতো, যদি বেঁচে থাকার মন্ত্র জানিতাম।
তবে মরণের মন্ত্রখানা ভুল জেনেছি, এবং
শূন্যের সীমা অতিক্রম করতেই শতকে বাষ্প রূপের
নিরাকার অস্তিত্ব বহন করতে গিয়ে বুঝতেই পারিনি
তাপমাত্রা সীমা হাজার ছাড়িয়েছে। কেন
এখানেই শেষ? নতুন রূপে, প্লাজমা হিসেবে। শুদ্ধ এবং বিক্ষুব্ধ।
ভাবলাম, আমি অসমাপ্ত! না, তা নয়_
এরপর শুরু হলো ক্ষরণ
মস্তিষ্ক গাত্র হতে, 'অ্যাড্রেন্যালিন'
পিটুইটারী থেকে, 'টেস্টোস্ট্যারোন'
এবং বাকি সব হরমোন।
বুঝলাম, আমি সমাপ্ত। ইহাই সঠিক লয়_
অনুভুতির হলো পতন,
কেননা, আমি ভয় পাচ্ছি, আমার স্বল্পকালীন
ব্যপ্তিতে। তবে, পৌরুষ ফিরে পেয়েছি। হঠাৎ কখন
যেন বেঁচে যাওয়ার সাধ বেড়ে গেলো বহুগুন।
আর এভাবেই কবিরা সহস্রবার ধ্বংসের পরও,
ধ্বংসস্তুপেই অঙ্কুরিত হয়, বেঁচে থাকার সাধ মেটানোর জন্য।।