প্রখর রোদ্দুর শেষে, এই ভেবে শান্ত যে_
সামনে জলধি বর্তমান।
অন্ত্র অবধি শুকিয়ে কাঠ, তবু প্রাণপণে চেপে রাখি
পিপাসা, হেঁটে যাই, ছুটে যাই, আমাকে যেতেই হবে
সেখানে। যত পথ হোক, কত পথ আর!
কত সে ধূলোর পথ, মনে হয়, শেষ নেই তার।।


কোথাও মেঘ নেই, নদী নেই, অথবা সেই গাছ, যার_
অদ্যপান্ত জলে ভরা।
ধুরধুরানি নামকরণ উত্তর পুছিলাম, বর্ননা সহিত,
"এটা এমন বৃক্ষ, যার তলদেশ থেকে জলের সঞ্চার
হয়।" কেউ চেনে না, বৃথা তবে এই ঘনিষ্ঠ আলাপ!
আহা! শুকিয়ে গেছে সব। না জানি, এটা কার অভিশাপ।।


চাতক না বরং ধূর্ত কাক, আমি চষে ফেলি অদ্যপান্ত,
এই নিস্তরঙ্গ বেলাভূমির আনাচেকানাচে।
ঠুকরে-ফুকরে অনবরত খুঁড়ে যাই বালি, পাথুরে মেঝে,
পৃথিবী বক্ষের কঠিন সব আস্তরণ। এই বুঝি ভাঙে ঠোঁট।
বিষন্ন, সিক্ত চোখ তারপরও স্বপ্ন দেখে, "এই ঘোর
কখন কেটে যাবে! কখন হবে নতুন সূর্যোদয়, নতুন এক ভোর।।


সে কি দেখে না? কাকে দেখে সে! হে করুণাময় কেউ তুমি_
মেঘ দাও, জল দাও। নব সলিল শীকরে শান্ত করো এ ভূমি।