স্বাধীনতার গর্বিত স্পর্শ অনুভব করতে পেরেছিলো যে মনঃপ্রাণ,
নিজের জীবনের যৌবন উৎকণ্ঠা উদ্বেগের ঘনঘটায় অন্তরিন ছিলো যার,
তাঁর চোখেই তো স্বপ্ন হাসবে বাজবে বাঙ্গালিয়ানার আনন্দের জয়গান।
বঙ্গবন্ধুর জীবনের আস্বাদে ছিলো দেশের মাটির সোঁদা গন্ধে ভরা অমিয় আখ্যান।
তাঁকে ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয়েছিলো-
তিনি বলেছিলেন আমার দেশের মানুষের রক্তের ঋণ শোধ হয়নি-
আমি প্রস্তুত; আমি নিজের জীবন দিতে পিছপা নই।
আমার সোনার বাংলার জমিনে আমি মরে গেলেও দেখবে চেয়ে আমারি ফেরারি প্রাণ।
দশই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ফিরে এলেন তাঁর আপন ভূমিতে কেঁদেকেটে অম্লান।
হৃদয়ের মনের অন্তরের গভীরের সবটুকু ভালোবাসা মিশিয়ে বাঙ্গালি ছিন্ন দেশে-
তাঁকে আপন করে নিতে ভুলেনি কভুও জড়িয়ে ধরে কান্নায় মুগ্ধ দেশের জনতান।
বাঙ্গালির মনে প্রাণে প্রোথিত হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান-
সূর্যস্নাত অমিত লক্ষ-কোটির আত্মজ ভূষিত বীরন্ময় সম্মান।
আজও এ দেশে বর্বরদের কালো ছায়া হাঁটে, আজও সেই বুটের শব্দ শোনা যায়।
উদ্ভ্রান্তের মতো গলা ছেড়ে সৃষ্টি করে বিরোধ।
নাঙ্গা দাহ করে গর্ভবতীর স্বপ্ন পুড়িয়ে করে ছারখার।
বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার উন্নত অবস্থান।
মাল্যভূষিত বঙ্গবন্ধু এদিন কেঁদেছিলেন অন্তরের গভীর অতল থেকে।
স্বপ্নের সোনার বাংলা কিছুদিন আগে স্বাধীন হয়েছে,
বঙ্গবন্ধু, কান্না জড়ানো উদ্ভাসিত উল্লাসে ফেটে পড়া মুক্তির শিরোস্রান।