কারকিয় আদৃত জীবনের কিছু ভুল- একদিন যদি হয়ে যায় ফুল,
যত্রতত্রের গ্লানি, হোঁচট, অপখরা, পর্যুদস্তের নামতা, কষ্টের দাহ,
দুঃখ, ব্যাধি, জরা, ক্লান্তির বিষণ্ণ ক্ষয়, ভেতরে বিষাক্তের নাড়া, কলঙ্ক-
যদি হয় শোভনীয় দীর্ঘ অশ্রুতেও ঋণ;
না দেখায় বিনিময় পত্রের বিচরণ দ্বিমাত্রায়।
আশীর্বাদ বুজে রয়; মৃত্যুর দুয়ার চারপাশে-
দখিনা বাতাস কেন জোরে বয়?
আমার হিয়ার মাঝে নতুন বসত সত্যির রূপে চুপচাপ ভালোবাসা,
দেয়ালবন্দী যাপিত সময়।
মায়ের কান্নার এক ফোঁটা অশ্রুতে যদি সৃষ্টির প্রাচীর কাঁপে,
তাঁরও ব্যথা জাগে নতুন সে মৃণ্ময়।
সমাধির পর সমাধি আছে; লোকে বলে এতো ভালোবাসা ভালো নয়!
বুকের রক্তে তাজা সে আজন্ম স্মৃতি শেষ মুহূর্তও অবনত কম্পিত দ্রোহে-
সবদিকে তো ধ্বনিত ভালোবাসাই পড়ে রয়।
আমি যত দুঃখই পাই দূর দূর করে তাড়িয়ে দেবার পর-
মাথা নত করে ফিরে আসি যতবারি সবটুকুই আশীর্বাদ।
সে যে মাতৃহৃদয়; আকুলে বুঝায় চারপাশ ঘিরে কেউ বলে বিবর্ণ ছিন্ন-
কখনো আমার বা তোমার দোষ নয়।
অদেখা আকাশের মেঘের মতো চোখের দিকে তাকিয়ে-
সব ভুলে যাই কেঁদে ফেলি হঠাৎ ভীষণ কষ্টে-
আমি তো তোমাদেরি, আমার অশ্রু মুছতে তোমরা দেরি কর না,
তখন কেমন আবেগ জোড়া বাহু ছোঁয়?
তোমরা জানো; জেনে গেছো জন্মজন্মান্তরের বাঁধন-
যায় না যাবে না কখনো ছুটে-
হবে বিনি সূতার মালার বদল,
আপনেরও আপন একাধারে অবিচ্ছিন্ন চিরন্তন চিরন্ময়।