তরঙ্গিত মন চুপসে থাকে না; থাকে না রোদেলা দুপুর-
স্তব্ধ নিমেষে বিকেলে বা সন্ধ্যেতে হারানোর আগেও-
মনের বিহারে রাগ লিখে ভুলে।
কর্তব্যের জালে যদি মনন থাকে সঠিক-
তবে বেহুঁশও অবচেতনে থাকে সজাগ স্পষ্ট,
যেন তাকিয়ে থাকে চোখ খুলে।
দীর্ঘ রণনে পারতে আপোষ করে না বীরের লক্ষ্য,
হারতে চায়নি চায়নাও রথের চাকায় চলে যুদ্ধে টিকে থাকার প্রয়াসে-
আকাশও পাশে হাতে রাখে হাত ওই দেখ জোড়াবাহু তুলে।
শত আঘাতের পরও যদি মেনে নেয়া সহজ ঠেকে-
সমার্থক তবে কোন প্রাসঙ্গিক ভুলের অর্থ?
উজানেও বারবার নিশানে নতুন তোড়ে ভেসে গিয়েও-
কীভাবে একই পথ খুঁজে চলে?
জীবনের মানে অনেক বহু অনেকের কাছে ভিন্ন ভিন্ন রূপে কাঁদে হাসে।
তবে স্বপ্ন-সংকুলে বিবৃত বিব্রত আঘাতে-
উড়ন্ত ছোট্ট বালক ঘুড়িটার সুতো কেটে দিয়ে-
যে ঘাতকের দল আনন্দে ভাসে-
রক্তের বাঁধনের সততে স্রোতে কে নেই আর কে না আছে?
তার মাপে কখনো কোন সে সময়ে-
মৃত লাশ করে তবে কেন ওরা না ডাকে কাছে?
সহসাও আর কোনোদিন হতবাকেও মুছে যাওয়াই-
কেন নয় বাস্তবের ঠিকানায় সঠিক বিচার?
না হোক রচিত আর কোন পাতা লক্ষ্যচ্যুত করা অন্যায় সর্বনাশে।
এমন কিছু তীব্র মর্মদাহ্য কথা আছে-
শুনে যার পরিমাপে মনে হয় মৃত্যুও ঢের ভালো-
অন্ধকার অচিনে একা নিরালায় গর্হিত কথা কাটবে না কেউ-
নেই পাশে সে যেই হোক অস্ফুট নীরব সহস্র বিরক্তি কাঁপানো-
জোরালো বিষাক্ত প্রশ্বাসে।
কিছু অমানুষিক শব্দের ভিড়ে তাও-
বোধ হয় নিজেকে ঠেসে রেখে চলা ভালো,
যে বর্ণে মন হয় আরও অবিচল থাকা সহজ হয়ে পড়ে,
স্থিতি মেলে ধরা যায় আক্ষরিকে বিশালে বিশাখায়।
কোটি চোখে কোটি ভাষা।
তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের বিপ্রতীপ স্বরেও সম্ভুক ভুলে না-
চোখে রেখে চলা স্থির লক্ষ্যের অনমনীয় সরল গতি-
খুব কঠিন কোন মোচড়ে তা কখন কি বুঝায়!
কাটা ঘায়ে যদি নোনা জল ছুঁড়ে মারে লৌকিক অসম্ভব-
অপঘাতে কোন ভীষণ চুপ চারিত চরণ-
তার চোখে চোখ রেখে যদি কপালে ভাঁজ তুলে বেরসিকের মতো-
খানিক ভুলের মাত্রা চোখে পড়ে তটে,
তখন যে মনেরা প্রশ্ন খুঁজে সে নীড়ে-
এক শব্দের এক উচ্চারণ শোনায় আত্মসম্মানও,
হঠাৎ নড়ে ভীষণ চটে।