যাযাবর বাতাস হাপিত্যেশে ধীরে টুকিয়ে-মেঘের দলের ঘুম নাড়ায়।
বিকেলের শান্ত শিওনে যখন উদাস করা প্রাণের প্রকোপ চিনতে ভুল করে-
তখন; কে যেন চুপিসারে বলতে চায়-
তুমি কান পেতে রও ওহে পৃথিবীর পূজারী।
আমার বুকের ভেতর রক্ত জমাট-
তাও অবারিত ঘন বাতাসে ঢিল মারি আলোকে অলক্ষ্যে।
কখনো কি মিছে বলেছি জমাট সব কষ্টের স্রোতেও?
তুমি ঘুম থেকে জেগে যদি শোন ডাকছে পাতি-কাক দাবানলে শুষ্ক গলায়-
বলবো; বন-বিহারিনী; তুমি চলে এসো যতসব মিছে ডর ভুলে-
তোমার এই মনের রঙিন পৃথিবীতে আমি হতে চাই-
উড়ে যাওয়া মেঘের মতো।
ভরাট গলায় কবিতার অক্ষরের বুনটে মৃত্যুঞ্জয়ী সাহসী বুকের পাতে।
আমি আর তুমি অর্থহীন নই-
রাতের গভীরের আঁধারের সাথে-
তুমিও কেঁদে ফেল হাহাকারে ভরা এক পশলা বৃষ্টি সাথে।
এসো তুমি, অগ্রগামীর ডাকে শ্বাসে-প্রশ্বাসে অশান্ত বুকটা জুড়ে-
নিবিড় শীতল বাতাস পেতে।
রাতের গভীরের আঁধারের সাথে।