পিছুটানে গেলে হুংকারের কালিমায় প্রতিদগ্ধ কিছু বাক্য জ্বালাময়ী স্বরে আবারো কথা বলে।
এখন নির্লিপ্ত সময় চুপচাপ বিরান মাঠের ধুঁয়া উঠা গন্ধে কারো কারো মনে ঘৃণা তুলে।
কতো চোখে কতো মুখে এখনো কান্নার রেশ, এখনো বিলাপ উজারে গলা মেলে।
ভুলে যেতে চাইলেও বিস্মৃত হতে চায়না-হতে পারেনা সপাটের আঘাতে বোনা,
কালো দাগের মালয়ে পোড়া উল্কির ছোবল-
কিছু ক্ষতে অনেক কষ্ট চোখে পোঁতা অশ্রু সজলে।
এখনো ঘুমাতে পারেনা মনের বিকেল বৈকল্যের স্মৃতিচারণে।
হঠাৎ কেন যেন জানা কারনেই মনে পড়ে যায়-
বিকট শব্দের আগুনে মাখা দেহ এখানে সেখানে।
ভূমিষ্ঠ শিশুর চিৎকারের মতো মেলে ধরা আর্তনাদ বেঁচে থাকার ইচ্ছে প্রাণের খেয়ালে।
মাটির দেহ দাগে পুড়ে জ্বলছিল;
প্রেয়সীর উপহার সাদা পাঞ্জাবীটা ভিজেছিল লালের শ্বাসে!
মানুষই তবুও সৃষ্টির সেরা যদিও জীবন হোক পাপে আর পুণ্যে রাঙা।
কতো মূর্ত মুহূর্ত আঁকা বিষাক্ত সবুজ মৃত দেহে জীবনে অপ্রাপ্তির ঢেউ ভাঙ্গা।
কিছু ছোবল সয়ে যাওয়া যায়-কিন্তু কিছু কেউই পারেনা সয়ে নিতে।
মানুষের হৃদয় হতে পারে অনেক বড়-
কিছু খুব হীন; কেউ ছুঁড়ে দেয় থুতু প্রপাতে ঘৃণায় ক্লেশে চিহ্নিত কোন লাশে।