সুরের লহরীতে নীল আঁখরে আকাশটা যেন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
ভুল করে বাতাসটাও ভাজ থেকে ভাজে ছিন্ন হতে থাকে-
আকাশে ভেসে থাকা মেঘের প্রতি পরত থেকে।
সাগরের স্রোতে থাকা ঢেউয়ের উজানে শোঁ শোঁ আওয়াজে-
দমকা দুরাপারে ঘূর্ণি বাতাস দামাল হয়ে আছড়ে পড়ে সৈকতে।
আকাশের সাথে আজন্ম রাখী-বন্ধন,
শত স্রোতের আধার সাগর-মহাসাগরের।
এক বিন্দু জলও যে কখনো কখনো-
শুঁকিয়ে কাঠ গলার তৃষ্ণা মেটায়।
মেঘের পরে মেঘ উড়ে উড়ে যায় দূরে বহুদূরে।
একবার দেখে নিয়ে দু’চোখ বন্ধ করে বৃষ্টিদিনের কাব্য বুঝে-
সেরকম তেমন কিছু মন।
চৌচির মাটির হাহাকার মিটিয়ে যায় অবিরত শ্রাবণ বর্ষণ।
কেউ বলে এ যে প্রকৃতির প্রথাগত প্রেম।
এতো বিশাল পৃথিবীর প্রতি কণায় কণায় সৃষ্টির ভালোবাসা।
প্রকৃতি যে কারো মন ভেজাবেই।
প্রকৃতি আকণ্ঠ কঠোর পাষাণ হৃদয়কে কিঞ্চিত হলেও-
মুগ্ধ করে সরল করে দেবেই।
অভাবনীয় মায়ায় পৃথিবী চলে,
বয়ে চলে অবিরাম বাতাসের ঢল।
অদৃশ্য থেকে দৃশ্য রচিত-
কখনো হাসে সৃষ্টির দল কখনো অস্রুসজল।