আমি তোমার মুখের উপর কথা বলতে পারিনি, পারিনা, পারবও না।
তোমার যা ইচ্ছে আমাকে তাই করো; আমার ভ্রুক্ষেপ নেই কোন।
আমি বিশাল ধূধূ-বালুচরে একাকি হেঠেছি;
তীব্র উষ্ণতায় অপারগ হয়ে অকাতরে ঘেমেছি।
তুমি যদি পুরোটা জানতে-অবাক হয়ে যেতে।
আমি লোনাজলে ডুবেছি ভেসেছি।
তুমি যদি আমার কাব্যভারে বিতৃষ্ণ হও-
আমার কিছুই করার নেই যে।
আমি এক দগ্ধ জীবন্ত মন-
যা তুমি শত কান্নায়ও দেখতে পাবে না।
আমি এক দুখের জালে বন্দী সহস্র পাখার রঙিন অরুণাচল।
আমার কপালে হাত ছুঁয়ে টলোমলো চোখে-
জন্মদাত্রী মা একদিন আশীর্বাদ করেছিলো-
আমি যেন জগতজয়ী সুপুরুষ হই।
জায়নামাজে কেঁদে কেঁদে বাবার প্রার্থনায়-
আমি ছিলাম অফুরন্ত।
মা আর বাবা-পৃথিবীতে স্বর্গ যে তাঁরাই।
আরে-আমি যদি আবেগের শিরস্রে তাঁদের মুখ দেখে-
কেঁদে এক ফোঁটা অশ্রু ফেলি-
আমার তো সৃষ্টিকর্তার ভুবনে যাওয়া একি পরখে পড়ে।
আমাকে জীবন্ত এখনো পোড়ায় কিছু বিনষ্ট মনের পাপী।
আমার আত্মার প্রদাহে একদিন আমি ওদের গন্ধ উঠা লাশ দেখবো-
আর মনে মনে হয়তো বলে বসবো-
খেলা কি তবে শেষ হয়ে গেলো?