বাতাসের নীড়ে ভেজা আবেগ,
নেই রোদনীল দোলাচলে সহজাত সমাকর্ষণে-
মন মাতানো অবাক হয়ে শোনা নুড়িজলের শব্দে শব্দে লুকোনো-
মৌন ভালোবাসার নিলাদ্রি দিকবাক।
হতবাক নীলাভ আকাশটা চুপসে করুণ দৃষ্টিতে অপলকে চেয়ে আছে-
শুভ্র মেঘের ডানাকে বিস্তীর্ণ আনাগোনায় সহচর করে।
হৃদয়ের বাহুডোরে শুধুই শূন্যতা পুড়ে-
কোন এক জানা চোখে রেখে চোখ।
সময়ের পাতায় পাতায় সুতো বুনে ক্লান্ত হঠাৎ লাজুক বৃষ্টি-
লাস্যময়ী হয়ে ঝরে পড়ে পড়ন্ত সন্ধ্যের পিয়াসে রাতের তারা নাড়িয়ে।
স্মৃতির পূর্ণতায় ভরা মুহূর্তের সমস্ত স্বরে-
লুকিয়ে যেন নিভে যেতে থাকা নিস্প্রভ সুর।
মৌনতা কি তবে মাঝে মাঝে সত্যি ভালোবাসা?
অপেক্ষার প্রহর কাটতে চায়না এ যে অনেক বড়।
সাজানো পানসী ভিড়বে সে আর কতদূর?
মৃত্যুর মিছিল অঙ্গন জুরে কাঁপায় নিঃশ্বাস,
সাহসের বাঁধের ভিত সরে যেতে চায় যেন।
দূর নক্ষত্রও কাঁদে প্রিয়মুখের প্রস্থান অজানায়,
বিহ্বল চোখের পাতা বুজতে চায় অপার কেঁদে তবে কেন?
সপাটের পোড়ে দুঃসময়ে যখন পৃথিবীর যাপন,
নিঃসৃত দৃপ্তে সর্বে সামর্থ্যে ব্যাপৃত হোক দিব্যে রাতদিন প্রতি মোড়।
রোদে-জলে ভিজে কর্মযজ্ঞের আন্দোলনে উড়ছে শৃঙ্খলা,
অবধারিত দূরে বা কাছে দৃষ্টি পেতে মনোবীণা বাজে চেনাতে দিনের দুপুর।
নিরুপমার অধরে ফুটে নিঃসৃতে চেতনা ক্ষণে ক্ষণে,
ললাটে খানিক ভাঁজ চিন্তার রেখা শান্তাশ্রয় খুঁজে।
পোতাশ্রয়ে ভিড়েছে সবকিছু প্রয়োজন সতর্কে নিভৃতে মাথাগোঁজার।
দুঃসময়ে বুঝতে হয় প্রকটতার ঘণ্টা যা বাজে সময়ে অসময়ে।
এমন হয়ে থাকা নয় যা কিনা চুপসে-
বরং ধারণ করা রয়েসয়ে যেন যতোটুকুই সম্ভব মূর্ত মূর্তি করে-
বিনাশের বধ যেন না আনে অশ্রুজল বয়ে।