সময়ের স্ফুরণে মুহুর্মুহু অভিলাষের খাতা থেকে-
বিচ্ছিন্ন অস্তুতি নিরানন্দের ঘোরে নিবদ্ধ।
মগ্ন ডুবন্ত মনের পাতায় খেলা করে যায় অবান্তর পর্বের নিরস্র প্রান্তিক প্রশ্নোত্তর।
কালের ক্ষেপণে ফিরিস্তি কিছু নাঙ্গা মুখাবয়বে রকমফের প্রবান্তরে দিক খুঁজে ত্রস্ত।
নিস্তরঙ্গ খেয়ালের ওপাড়ে বসত করে মানব্য ত্রিপিয়াসী ভ্রূক্ষেপ-
যার চোখেমুখে বিদ্বেষ।
মুগ্ধতার বদলে ক্লেশ, অমায়িকতার অন্যাবসানে ধ্রুপদী সময়ের আখ্যানে-
গর্হিত অন্যাচরণ।
স্তব্ধ হয়ে যেতে চায় আকাশ বাতাস ভূপৃষ্ঠ শুষে নিতে পারে জলনল।
চোখে মুখে বিষের বাষ্প; কথা বলে দ্রাক্ষায় নির্নিমেষে অবাঞ্চিত অবলয়ে অপলক্ষ্যে।
অগ্রাহ্যে বিমূর্ত অসহিষ্ণু প্রলাপ স্বকীয়তাকে করে ফেলে কিংকর্তব্যবিমুঢ়।
মনোরাজ্যে বসত করে পরগ্রাহি অপালাপ-
নিমগ্ন অনাহুত অস্পৃশ্য অনুভূতির অন্যলোক।
বীভৎস বিস্তৃত অত্যুক্তি নরঘাতকের মতো শাব্দিক দর্পণে-
একাগ্রেই নিভৃত প্রশ্ন খুঁজে বেহুঁশ।
প্রশ্ন অনেক কিন্তু উত্তর একটিই।
দুর্বল আবেশে ঠাঁসা সবচেয়ে সস্তা আগ্রহের বিন্দুগুলো পুনর্জন্ম নেয়-
তেঁতো বুনো জনউল্লাসের বিগ্রহে বোনা অমানুষিক মন্তব্যের জোরালো পতন।
সতেজ আবাহনে খুঁজে মগ্ন উম্মাদনা বিকর্ষণ অতিরিক্ত অন্যায্যে।
দুই যুগের গোপনে চালিত নিকৃষ্ট অত্যাচার কতটুকু মর্মান্তিক ছবি আঁকবে-
তার হিসেব কে কষবে?
কাউকে ভালো না লাগলে জিহ্বা নড়ে উত্যক্তে।
ভালো লাগলে বাতাসই সাক্ষী হয়ে হাসে গোপনে গহীনে।
সময়ের পাটাতনে অনেক হিসেব কষা বাকি,
অনেক ভূতুড়ে উল্লাসের বিপরীতে হতভম্ব হয়ে যাবার মতো-
দিকবিদিকশূন্য মৌনতা খুঁজে নশ্বর ময়ূরাক্ষী।
কপালে ভাঁজ উঠবে; মনের এতোদিনের ঘর্মাক্ত সবুজ পাতাটা-
শুঁকিয়ে খয়েরী রং দেখাবে।
যার প্রতি যে কোন দোষ করেনি সেই বিনাকারণের তীব্র জিঘাংসার প্রতিফল-
জানে সুমানুষ।
স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা কাঁপে;
মৃত্যুর প্রহর অবিচল সমুখে পুঁতে রাখে।
যা যারা জানে না তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে ঘুরিয়ে বিন্যস্ত করে-
যাপিত কষ্টের তীব্রতা বুঝানোর কোন মানে নেই।
দৃষ্টিতে পড়ে শকুন লাশ খাচ্ছে কিন্তু কে হতে পারে সে কি মানুষ নাকি পশু?
আয়নায় চোখ পেতে সহাস্যে আপ্লুত স্বরে-
নিজেকে প্রশ্ন করে দেখোতো তুমি কি রঙের।
দুর্ধর্ষের চোখে থাকে হল্কা, বিনাশে প্রমত্ত নাঙ্গা উত্তাল তার রক্তের প্রবাহ।
কিন্তু সুবর্ণ সরোজের চোখে সে চোখ পাততে পারে না।
এক মুহূর্তে তেজের বারুদে মেঘের নিনাদ তাকে উড়িয়ে হারিয়ে-
নিয়ে গেঁথে রাখে জানা ত্রিদিবে।
চোখে চোখ রেখে কথা বলতে কে পারে অবনত নয় কে-
যার দর্পিত চাহনিতে আছে সৎসাহস।
পেছনে কি ঘটে গেছে তার বিন্দুমাত্র মনে রাখে না সুপুরুষের ঝঞ্ঝা।
তোমাকে সামনে রেখে কিংবা তোমার আড়ালে আমি তোমার বিরোধে-
অপ্রতুল কটূক্তি করবো তাহলে তো সে আমি আমি নই।
আমার আমির আড়ালে তবে তো সে ভিন গ্রহের ভয়ংকর।
প্রলয়ঙ্করী দুর্ভেদ্য অনম্র দূরপাল্লার দুর্দমনীয় দুশক্রান্তের-
তীব্র বেহুলের বিষেও যে কাতর নয়;
সহস্র আঘাতের রক্তাক্ত দেহ নিয়েও যে বলতে পারে-
যুদ্ধ এখনো বাকি; সেই কি সুপুরুষ?