চলার পথে ভীষণ একলা দুপুরের ঋণ শুনিয়ে বিকেল মুচকি হাসে,
জীবনের পাতায় এতো গুনে রাখা মুহূর্তের তীব্র অভিমান তাও ডাকে কাছে।
জমাট অযুত ভালোলাগা তন্দ্রামগ্ন গোধূলিতে-
হঠাৎ থামানো কুয়াশা কাঁপনে বৃষ্টি নাচে।
সারা পৃথিবীকে দু’টি হাত বাড়িয়ে ডেকে বলে-
ওই তো সেই তোমার হাসি একাকার,
হিসেব নেই কেন যে এতো আকর্ষণ এতো মিশে থাকা-
আনন্দের রৌদ্রনীল বেদনায়।
দুখেরও আছে সুখ,
অনেক পাওয়া এতোটুকু জীবনের গল্পে ছেদ হয়তো কোনদিন-
কোথাও যেয়ে ফিরে আসাতে কারণে যত মানা-
আধো আলোতে চেয়ে খুব চেনা মুখেতে,
ভালোবাসা বুনে রাখা ততো সহজ নয় যতোটা প্রেমের রূপসে বেহালে ছড়ে-
বিমাত্রার ঘৃণা।
মধুর সে সন্ধ্যা খুঁজে নেয়া ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাসে-
ঝরঝরে ধুয়াসায় মাতে টিপটিপ,
গুঞ্জনের কপোলে রাত নিভুনিভু স্বপ্নের স্বরে,
দু’টি বাহু ফুলের গন্ধ ভরা লগ্ন সরিয়ে আর কতো রাখবে?
কিছু সময় মিশে যায় উর্বশী এলোচুলের রাজ্যে,
বিমুগ্ধ সোহাগের বিচরণে আঁচল ঢাকা মুখটি ধরে,
চোখ মেলে দীর্ঘ ছন্দে সেতারের বুকে মালা গাঁথা-
লজ্জালাল প্রদীপ আঁধার খুঁজে লীন।
ভোরের ঠোঁটে একফালি মুখবোজা বাতাস-
চেয়ে দেখে পাশে নেই রাতের ঝড়ের সহচর।
ভালোবাসায় কাতরতা থাকে,
প্রেমে ভালোবাসা উড়ে ছন্দে বর্ণে বরণে আলোতে-
উদাসী প্রীত অক্ষরে দিনবিদিন।
আকাশের বাঁকে এতো যে মেঘ শরতে-
কাঁপে ঘুরে দূরে সরে সুখের হাসিমুখে।
রজনীগন্ধায় মুগ্ধ চোখ হলুদ লাল গোলাপের প্রিয়ে অর্পণ-
শিয়রে ছিন্ন বীণা নতুন তারে।
যতোই বড় হোক রাত্রি কালো,
বেঁধে রাখা উচ্চারণে আগামী দিনের আলো দু’চোখের ভারে।
চোখে চোখ কখনো মিলেনি আবডালে মুখশ্রী,
শুনে যাওয়া দূর নয় মনের ঠিকানা ওধারে।
তুমি বলবে আমি শুনবো তন্ময়ে ছলছল দৃষ্টিজোড়ায় হাসি আসে না।
প্রতিশ্রুতি বাঁধনে মরণে আক্ষেপে নীল যে সীমানার রং,
দাঁড়িয়ে যেদিন বলবে জীবন,
চেনা যে মনের বাহার মহাকাব্যেও কিছু বলে কিছু বলা যে হলো না,
এমনি সে অনুভূতি প্রাণের ধরণ।
উপহার ছড়ানো গানে গানে সবুজ শাখায় ভেজা পাপড়ি,
স্বপ্নভরা দুরন্ত দিন হয় না ম্লান।
দূরে ওই অনেক দূরেও অজানা নয় ভ্রমরের গুঞ্জন,
না বুঝুক যারা চেনে না।
বন্ধ মনের অন্ধদ্বারে উঠে ঝড় প্রকাশে অবশেষে,
চন্দ্রিমার আলোয় রূপালি রাত স্নানে সহনে ভেসে...