সন্ধ্যেতারারা জেগে উঠেছে চাঁদের রুপশ্রীতে সস্মিত লহরীর ঢেউ ভেঙ্গে তিমিরে সাজে।
বাতাসের আবেগ বড়ই অদ্ভুত কেউ চিরতরে সংজ্ঞাহীন বীণা আর বাজে না যে।
দুপুরের সূর্যটা বেরসিকের মতো শ্বাস ফেলছিল ঘুমকাতুরে করেছিল কিছুটা বিকেল।
কেউ যেন চোখে কোন স্বপ্ন আঁকতে পারছে না সব বুঝেও বিরক্ত মেনে নেয়ার প্রতি।
আর কেউবা স্বপ্ন দেখছে যার মাঝে ডুব দিয়ে পরাজয় কি তা যেন ভুলে যায়।
রঙিন ঘুড়িটা উড়তে উড়তে নভোনীলে হারিয়ে যেতে চায় তাও সুতো টেনে ধরা।
কেন যেন কেউ উড়ন্ত মেঘস্পর্শী ঘুড়িটার সুতো কেটে দিতে গিয়েও পারে না!
মনের বিবেকে সত্য-সুন্দরের বসবাস সেখানে আলো জ্বলে গভীর গোপনে।
গহীন কৃষ্ণপক্ষের রাতেও সঠিক পথিক দৃঢ়তায় ভুলে না দূরত্বের ঈপ্সিত নিশানা।
চোখে সরষে ফুল দেখে বিপন্ন ধরাশায়ী কাতর স্বর আসলে তাও জিঘাংসায়-
মুখে দর্প তুলে খুঁজে নামহীন বিনিদ্র পথের রেখা তা সে ধোপে টেকে না যে।
খুনের তাজা রক্ত মেখে জীবনের সুতো কত দীর্ঘ সময় আঁকে তা একগাল হেসে।
কলঙ্ক রোপিত তাও চাঁদের সর্বনাশেও কতো গভীরে প্রকাশে দিবাকর মুহূর্তে ভুলে-
বল তবে মানুষ তাকে কেন চোখ ভরে দেখে আনন্দে উজালা হয়ে এতো ভালোবাসে?