নিবদ্ধ চোখ অমানিশার মতো আক্রোশ; বুকের সাহসে থাকা মায়ের ভাষা।
প্রচ্ছন্ন কোন এক উত্তরে উড়ন্ত শকুনের মতো লাশ খুঁজে ফিরে সমস্ত দমে সহসা।
আকাশে বাতাসে স্লোগান মায়ের জঠরের স্বাপ্নিকেরা ভাষা ছিনিয়ে আনবেই এমন প্রত্যাশা।
আকাশের বুকে ছিলো ঘুরেফিরে কালো মেঘের ছায়া; উল্কা,
দরমজা লাঠিপেটা; গুলির নিশানা; এক এক করে ফেলে দেয়া উদ্যমী কণ্ঠস্বর।
যেন হারহাড্ডি সমেত কঙ্কাল চিবিয়ে খাবে রক্ত করবে পান!
জোরালো সেই উদাত্ত কালজয়ী বিভীষিকার প্রতিদানে অমর অক্ষয় সালাম;বরকত-
রফিক; জব্বারেরা।
প্রান্তিকের প্রতিচ্ছায়ায় বাজে ডঙ্কা উদ্বেলিত অসংকোচের বিভেদ ভুলে
বৃষ্টি নামিয়ে কাঁপন ধরায় সহিংস সহস্রদের।
দামাল উড়ন্ত গর্জনে ধোপে টেকেনি বারংবারের প্রতিহতের।
বুকের তাজা খুনের অবিনাশী মূল্যে পাওয়া মাতৃ উচ্চারণ।
অম্লান তিরোধানে রচিত এক মহাকাব্য আজ বিশ্বস্বীকৃত এক মানবীর উৎকর্ষে।
সময় চলে যায়; যাচ্ছে; যাবেও,
কিন্তু অহিংস রোদের আলোতে মিশে গেছে স্মৃতির কাতরতা।
যে স্মৃতি মুছে যাবার নয়।
মৃত্যুঞ্জয়ী সময়ের সাক্ষী হয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে কণ্ঠে গেঁথে রয়।
অস্ফুট আহ্লাদে শিশু হাসে বলে বাংলায় শ্বাসে-প্রশ্বাসে নম্রচিত্তে কথা হয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার গভীর আকাঙ্ক্ষিত প্রত্যয়।