চলতে চলতে খুব যে বিমর্ষ লাগে তা তেমন নয়।
চলার গতি একেকজনের বীণের শব্দের মতো ভিন্ন ভিন্ন।
পথের পরে কতো পথ রচিত হয়।
জীবনের মাস্তুলে আবার লাগে বারবার লাগে পূবালী হাওয়া।
সিঁধ কেটে সময় যে দম কেড়ে নেয় মুচকি লাজুক হেসে।
বলতে বলতেও তো জীবনের ফেনায় শব্দ শেষ হয়ে যায়।
জীর্ণ শীর্ণ করে দু’হাত পেতে সেই যে জল খাওয়া।
তা কি মনে পড়ে প্রিয়?
সময় জানিয়ে দেয় হঠাৎ কোন এক নির্বোধের মতো।
তুমি বিচক্ষণ রুচিবোধের এক জলন্ত প্রমাণ।
আর তার সেই যে আকর্ষণীয় বর্ণনাতীত প্রাণ আকুল করা হাসি-
তাতে যে কত্ত হৃদয় হরণ করা আকুলতা,
তা আমার বুঝানোর ভাষা নেই।
প্রাণ হাসিমুখ থাক তাই চাই।
তুমি বেজায় বেলায় জল ছিটিয়ে তাকে যে সজাগ করতে-
সেটাও তো এখনো ভুলিনি।
তুমি এত্ত রুচিশীল?
আমি না বুঝলে আর কে বুঝবে বল।
তুমি যে আমার মনের চৌকাঠ পেরোনোর সাহস করেছো-
তাতে যে ছিল বন্ধুর মতো ভালোবাসা।
পথের বাকি পথে সারাজীবন বন্ধু হয়ে থেকো।
আর তোমার প্রিয়তমের যত্ন নিও।
নিদারুন প্রেমময়ে শাশ্বত বিশ্বাসে-নিধির এক গল্প হয়ে।