বিশ্বাসের প্রতি সুরে গেঁথে আছে সমর্পণ,
কথা ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের স্পন্দন জ্বলন্ত জল।
তাকাতেই হয় নীড় ভুলে কিছুটা হলেও দূরে,
আকাশ চেয়ে দেখে সীমানায় মেঘ ভেসে রয়।
বুকের দ্বারে আঘাত আসবে জানি,
দ্বিরুক্তি কেটে কেটে চলা অবশেষেও।
চোখে মুখে ভাসবে আগুনের হল্কা মেপে মানি-
তবুও যে ঋণের আবহে দিনমান প্রতিক্ষণ সমুজ্জ্বল-
বারবার ফিরে তাকাতে হয় স্মৃতির রোদে জলের কেকায়,
মেঘের ফাল্গুনে আগুন ঢালে প্রতিবার-
রক্তের ধারা তৃতীয় নয়নে নড়ে।
স্তরে স্তরে সাজানো মৃত্যুর জালে দহিত করতে-
ঝোপ খুঁজে ব্যতিব্যস্ত কালের মরীচিকা।
রোদের সোনালি হ্রদে পুড়ে উড়ে যায় ঘন খয়েরি রক্তের তেজ,
মেঘ শুষে নেয় আঘাতের আগুন ত্বরণে ঢেউ তুলে বাতাস।
মনের তরঙ্গে তর্জনী ভুলে না বৃত্তের বসতে-
কোথায় রিক্ত শূন্য হয়েছে কোন মুখেরা কোন সে আঙিনায়।
চিরদিন বুকে ধরে রাখা হারানোর মর্মন্তুদ তিক্ততায়-
সিক্ত চোখের প্রাণ ঘেঁষে জল গড়িয়ে পড়ার আগেই-
দু’হাতে চুরি করে মিশে যায় দৃষ্টির প্রক্ষেপে শিহরিত হৃদিতা।
চোখ মুছতে গিয়ে দেখে প্রচ্ছন্ন সে দায়িত্ববোধ।
বুকে বুকে কতো প্রচ্ছায়ায়-
কতো কষ্ট কতো যে আবেগে শেষমেশ বিশাখায় জর্জরিত-
ভালোবাসাও জানে না মোহনার প্রান্ত কোথায় ঠিক সর্বশেষ!
ধানসিঁড়ির শীষ অপেক্ষায় বিভোর পরাকাশে হবে নির্মূল দুর্গ্রহ,
যাপিত ছাপের কর্ষণে পুরনো দাহ্যতা বারবার উঁকি দিয়ে বিবর্ণ করে।
কেন যে অনাগ্রহ অবাক করা সম্মিলিত প্রচেষ্টায়!
দিবস খুঁজে রজনী ক্লান্ত নিরাবরণে আঁধারে মানে নিশ্চুপ ঘুমের তেষ্টা।
সহজাত আত্মজ বাঁকা অভিলাষে মুহূর্তের নাজুক কণ্ঠরা!
মহাবিশ্ব অসীম ভালোবাসায় পৃথিবীর;
প্রেমের গর্ভে নামতার প্রাণ কতো তাও গুনে নাও অকাল প্রয়াণ।
ম্লানে অপূরণে জীবনের স্রোত;
মানবীর মন ঊষার মতন কাটে কুয়াশার রতন-
আঁধারের আধার চিরে ভাসায় আলোয় দিন,
সুরজের প্রাণেই চাঁদের সমস্ত ঋণ বিলীন।
চলতে চলতে ক্লান্তির ঢেউ মর্ম জুড়ে,
মনের দুপুর সাঁতার কাটে হৃদয় পুড়ে,
শক্ত হাতে হাল গুঁজে দিতে প্রস্তুত শিরোমণি;
জীবনের কঠোর যুদ্ধে অবসন্ন হলেও বারবার জেগে উঠা-
প্রাণশক্তি ঠিকি বুঝে খুঁজে মানসী।
দর্প নেই মানসের থাকবে চিরকাল ভালোবাসায় লক্ষ বুকে,
ঠাই করে যতনে রেখে দৃঢ় সে ধমনী।