কেন পারবেনা হে উদ্দাম, উত্তাল তরুণের দল-
হুশিয়ারি কণ্ঠে রাঙায় তেজের জোয়ার।
তোমাদের যদি কোন ভুল ধারনা থাকে-
বিনা কারনের নিংড়ে দেয়া-ছুড়ে দেয়া ঘৃণার আঘাত।
আমার পাতার মতো মনটার মাঝে বিষণ্ণ যজ্ঞ-নীলিময় দুঃখের প্রজাপতি-
কান পেতে শুনে ফুল-জল ভরা কষ্টের স্লোগান, ছাত্রদের উদীপ্ত যূথী ভাষণ।
আমি সেদিন বুকের তাজা রক্ত দেখে আতঁকে যাইনি,
পেছনের দিব্যি হাতখোলা আঘাতে রাতের কুয়ারে কাঁটার শব্দে-
বাবার চোখে জল প্রয়ান্তে গিয়েও আসেনি।
বাবা জানতেন, একদিন তিনি তাকাবেন।
আমার মনের পাতায় যদি খাদ থাকে,
পিষে ফেল অজান্তে জেনো তোমাতেও ঈশ্বর লুকিয়ে।
যতনে তুমি, মায়ের বুকের ধন মেহরিশ।
আমার মাত্র বলা দগ্ধ জীবনের জালে আমি জ্বলন্ত লাভা-সে বা ওরা।
আহাজারি; একা পেছন ফিরে ডাকা মুহূর্তে,
ঝাড়খণ্ডের কপটার কবিতার কাব্যের মতো অবিরাম ছকে ছক আঁকা নিজের জন্য নয়, হে বীর।
মৃত নালাটার মুখে ঝাড়ু দেয়া পানিরও কষ্টের স্রোত-জীবন বলে!
আমি বেঁচে থেকে ফুলের বাগানে হঠাৎ যেন পরপারে চলে গিয়ে-
পুরো পৃথিবীর আহবানে একাত্মতা ঘোষণা করি মায়ার বাধনেও সব জাতি,
মায়ের জাদুময় গুটি পায়ে হাঁটা সন্তানের মুখে মা-বাবা ডাকের প্রহর।
রক্তের দামে রক্তের ভেতরে যন্ত্রণা পাতা,
শিঙ্গের কাঁটায় থাকা জলও চুপ দেখে নেবে বলে।
কুঁড়ে ঘরে আমি বিনা অন্য যদি থাকে কেউ আমি একান্তই উল্লসিত,
স্বাধীন বুকে পেতে নেয়া বুলেটের তেঁতো বিষের বিপরীতে বাড়ে শক্তি।
পৃথিবী মনে রাখে নতুন প্রজন্মের হুংকার,
বয়সের ভারে সাদা দাড়ির ফাঁকে লুকিয়ে থাকা ফেরেস্তাদের-
শেষ কিছু নিঃশ্বাসের অতীতের স্মারক হাতড়ে ফেরা মসজিদের আহ্বানে রত-
জায়নামাজে ব্যাকুল কান্নার ফোঁটা।
বলে ফিরি আজও,
মেকগাইভারের সেই জ্যাকেট আমি লুকিয়ে রেখেছি-
সেই জল্লাদকে পরাবো বলে।
যার ইশারায়- আমাকে মৃত্যুর দুয়ার দেখেও কেঁদেছে পরে।
আহা, আর্তনাদ-
চুম্বক রশ্মি থেকে তার আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেছিল।
মুগ্ধ ফুলেরা ঘাশফুলের মতো হতবাক হয়ে গিয়েছিল!
একই স্মরে অবাক আমার জলভরা চোখের মাটির মতো নরম সৃষ্টিকর্তাও।
রজনিতে আমি মাথা পেতে নিয়ে শিখেছি নতুন রক্তের ধ্বনির আওয়াজ।
সুমহান আকাশের মেঘ ঘুরানো প্রতিটি বাক আমার সাথে।
তার সাথে পাশে থাকবো বলে, আমি প্রস্তুত চাঁদ-সূর্যের মুখে আমার চোখ পেতে।
চেয়ে দেখে নিও হে নতুন প্রজন্ম।
তোমরাও ফুটন্ত ফুলের কাব্যভার।
আর না বলি কিছু।
অনেক বলার অনেক মানে, যদি হেসে বলি আরও তবুও কিছু।