দখিনের জানালাটা খুলে আছে আর বাতাস বইছে অনেক।
এ বাতাস শ্রান্তির নয়, নয় কোন আহ্লাদের মতো প্রাণ জুড়ানো কিছু।
সমস্ত বিকেল জুড়ে ক্লান্তিময় অফিস ফেরা কোন তরতাজা যুবকের-
এ বাতাস কখনো ভালোই লাগবেনা, লাগার মতো কিছু কি আছে?
হাপিত্যেশের শেষ দহনে যখন নম্র পায়ে নূপুর জড়িয়ে নিক্কনে মন উজাড় হয়-
তেমন করে কিছুই পাওয়া যাবার মতো নয় আজকের রাতে।
মন খারাপের নাজুক কালো মুখের পাড়ে প্রাণও নাভিশ্বাস কেতকী যুবার ললাটে।
সত্যির ভেতরে যদি শক্তিই লুকিয়ে হাসে, থাকে বুকের নিপাতে অসহ্য সাহস-
তবে আর দিন-রাতের গল্প নাড়িয়ে লাভ কোথায় কিসের অবলীলায়?
কবিতার শব্দে আজ দুই যুগের কষ্টের প্রাণের অঞ্জলি, মর্মে মর্মে লাগে।
বুকের পাটাতনে বিগত-দিনের হাসিগুলো কোন সে সময়ে কান্না ছিল-
সেই অকাতরে বলে ফেলা মুহূর্তগুলোর সমকোণে আয়ত আঁকে।
আমি নিষ্পাপ সময়ের কথা বলছি।
আমি শ্লোগানের মতো সমর্পিত চোখে আঙ্গুল তোলা-
বিষ-বাষ্পের নখদর্পণের কথা বলছি।
যেখানে মানুষ ভুলতে পারেনা অতীতের ব্যাকরন-
নিরিখের শব্দে উদ্বেলিত মানব-মানবীর চোখে চোখ রেখে কথা বলার স্ফুরণ।
আমি এসব সময়ের কথাই বলছি।
যখন কপালের জমে থাকা ঘামের মূল্য মানুষ ভুল করে ভাবে বৃথা!
সব কিছু যদি একই নিক্তির পরখে হয়,
ভুলতে পারবে কি যুগান্তরের ত্রিলিপিতে আঁকা মানুষের মাঝেও বেঁচে থেকে-
রয়ে যাওয়া থাকা বেহিসেবি নির্বাসন?