আমরণ প্রীত এক স্বপ্ন মনের মণিকোঠায় ধারণের বিপরীতে-
হয়েছে মৃত্যুও উপেক্ষিত।
জীবনের যৌবন ভারী করেছে বন্দিত্ব,
তাও বুকের প্রতি নিঃশ্বাস ছিল ভরা সাহসে সঞ্চিত।
মৃত্যুর দুয়ারে গিয়েও যে প্রাণ নয়নে রাখে মাতৃকার মানচিত্র-
সে সবুজে সজীব স্বাধীনতা হয়েছিলো আমাদের-
বীরদর্পের জয়গানে অর্জিত।
অতিমানবীয় রাজসিক উদ্ভাসিত উড়ন্ত অরুনাব্রতের মহীয়ান সান্নিধ্যে-
সময়ের চাকায় তেজোদৃপ্ত কণ্ঠে গাঁথা অনমনীয় লক্ষ্যে বোনা-
স্ফুলিঙ্গ কণিকায় অবিচার জনবর্জিত।
বাংলার মানুষের বুকে বিঁধিয়ে দেয়া-
সহসার ক্ষেপণে অবারিত অনবরত সাহস-
শেষ পর্যন্ত লক্ষ প্রাণের অকাতর বিয়োগ সম্ভ্রমের বিনিময়ে,
নতুন পতাকায় হেসেছিল স্বদেশ বাতাস।
বঙ্গবন্ধুর যদি জন্ম না হতো তবে বাঙ্গালি কি পেতো আপন ভূমি?
পেতো কি মুক্ত শ্বাস-প্রশ্বাস ভরা বুক উঁচিয়ে চলার স্ফুট বিশ্বাস?
মার্চ মাসের সাত বাঙ্গালির অনবরত কাঁদতে থাকা গুমরে থাকা মন-
খুঁজে পায় নতুন ধারাপাত।
নম্র কণ্ঠে ব্যাগ্র বাসনায় সঠিক দর্শনে যৌক্তিক অব্যর্থ লোকজ যোগে-
পরাধীনতার নামতায় নব বৈশ্বিক ঠিকানার দ্বারে করাঘাত করে-
বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের চৌচির মনে বিস্তীর্ণ ঢেউ তুলে-
আপন আবাসের প্রত্যক্ষ বীজ বুনে সাত কোটি বাঙ্গালির মানসে-
অবিরাম অনন্ত স্বাধীনতার স্বপ্ন গুছিয়ে-
দুর্গম করেছিলেন হানাদারদের চোখের নিশানা।
বাঙ্গালি সেই অমর ন্যায্য অম্লান দীপ্ত কণ্ঠের নির্দেশ-
নির্নিমেষে লালন করে রক্তে-
অবশেষে পেলো লাল-সবুজের উন্মুখিত ঠিকানা।
বঙ্গবন্ধু কোটি বাঙ্গালির প্রাণে এক অমর কাব্যগাঁথা।
তাঁকে নিয়ে লেখা মানে যেন আমাদের মনের পাতা সাদা-
যার অবদান কল্পনা আর বাস্তবে দু’ভুবনেই অভাবনীয়,
আবেগের কষ্টের রক্তলাল তিরোধানে তাঁরই রচিত স্বদেশ আমাদের-
আমরা উড়ি রঙিন ঘুড়ি হয়ে অথবা ডানা ঝাঁপটাই হর্ষে নীল আকাশে,
শুরু আর শেষে সেই বঙ্গবন্ধুই যিনি বাঙ্গালির ত্রাতা; আঁচলে আঁচলে পাতা।