আমরা সবাই ছায়াবন্দী।
নাকি নই?
ছায়া দৌড়ে কি কখনো ধরা যায় জালে?  
মনের আগুন; হৃদয়ের আগুন-
জীবনে বিদ্ধ মগ্ন তীক্ষ্ণ ছুঁড়ে দেয়া আগুন-
চোখের জলের আগুন ছুঁয়ে দেখো ছায়াতে।
পারবে কি?
তুলোতে আগুন জ্বেলে ফুঁ দাও উড়ে যাবে কোথায়।
জানবেনা বাতাসেও জোয়ার-ভাঁটা।
রাত্রি দিনের প্রহর গুনে গুনে মহাকাল হয়ে গেলো।
পেছনে করুণ ইতিহাস শুধু চুপচাপ রয়ে গেলো।
তাও যেন সবটুকুই বর্তমানের ধূপছায়া।
ভবিষ্যৎ বলে কিছু নেই।
ছুঁয়ে দেখ দেখি অসীম বাতাস।
অহংকারের কিছু তো নেই-
নেইও বাকি অবশেষ।
চোখের সাগরে শারদীয় ভাষাও হয়না মলিন।
উচ্ছ্বাস খুঁজে সমুখের চেতনা।
প্রজন্ম নতুনের দহনে।
রঙের ধনু কেন হবে কালো?
কেন অর্ধবৃত্তে আঁকা প্রভাত?
আঁধারে ছায়া নেই।  
সে কি মোহনায় বিলীন উল্কি আঁকা কলঙ্কের চাঁদ?
নিভাও দেখি তোমাদের মনের নিলাদ্রি আগুন।
মুক্ত বাতাসেও সজীব; রিক্ত নয় অনির্বাণ।
ছায়াতে আগুন যায় কি দেখা?
অথবা আগুনে ছায়া?
কালো চোখের সাদা মলাটে কেন সন্ধ্যের প্রদীপ?
ঘোলা বাতাসের প্রাণে বিদীর্ণ আহ্বান।
সবুজে জ্বলা আলোর ভাষণে।
অনির্বাণ শিখা সবুজ।
চিরন্তন সবুজে বীরত্ব।
দগ্ধ আত্মার ভাষা শুনে যেও নির্মল সকাল সাঁঝে।
রেখে চোখ সবুজ আগুনে জ্বলা বিপ্রজ প্রভাসে।



(শিখা চিরন্তন স্মরণে)