শূন্য রংবিহীন অভাবনীয় রিক্ত একা বিস্তীর্ণ আকাশও মেঘ বিনা।
বাতাস ছাড়া যেভাবে মেঘের হৃদয়ে নেই ডানা ঝাঁপটা ছোটাছুটি।
পাহাড়ও স্পর্শীয়া হতে চায় মেঘের মুকুরে আঁচরে ভিজতে চায় শীতল অবগাহনে।
সমুদ্রের নূপুর ঢেউ; নৃত্য যেন সৈকত জুরে থাকা বালুকায়।
সহিষ্ণু শাঁ শাঁ শব্দের বাতাসে সন্ধ্যেভরা সমুদ্র পাড়ে-
একা বসে প্রকৃতি-কুসুমের বিদায় দেখতে কারও ভালো লাগে না।
ভালো লাগবে কি চুপচাপ নিথর চোখে নিস্তব্ধ রাতের আকাশে গুটিসুটি তারা গুনতে?
গভীর তন্দ্রাচ্ছন্ন রাতের মধ্য-মোহনায় কেউ যদি সে থাকে পাশে,
বারান্দায় বসে এক চাদরে হাতে হাল্কা মেজাজের দু’কাপ চা হিমহিম বাতাসে-
উড়ন্ত জোনাকির টিমটিম আলো যেন মনের গালিচায় ভালোবাসা বিঁধিয়ে ছাড়ে।
রাতের নীরবে তোমাকে ভাবতে ভাবতে হঠাৎ চোখের পাপড়ি ঘুম ছোঁয়।
হাসতে থাকা সকালের প্রসন্নে যদি তোমার লাস্যময় চোখের টানে-
আমার কপোলে ভাঁজ পড়তো।
একদিন কোন এক উপত্যকা নীড়ে পাশে বয়ে যাওয়া জলের প্রবাহ ঘিরে-
আমাকে তোমাকে অরণ্য যদি আপন করে নিতো।
কতো স্বপ্ন নিবিড় করে আপন সুরে তোমার জন্য গোছানো।
জানি সে প্রাণের প্রণয় হৃদয়ের অঞ্জলি একদিন সত্যি হবেই-
নিদারুণ সৌন্দর্যভারে ভাবনার নিলয়ে।
তুমি আমি একদিন পাশাপাশি বৃষ্টিভেজা ত্রিনয়ে-
হাতে হাত রেখে হাঁটতে হাঁটতে বহুদূরের সে কোন এক পথে-
ধীরে অবসন্নে হঠাৎ মিলিয়ে যাবো।