যদি বর্ষণ হয়ে ছুঁই পা না ভিজিয়ে এপারে-
ভেজা ভেজা পায়ে হাঁটি না দিয়ে পা বালির স্রোতে-
তারপরও যদি ভেজে দূর বহুদূর মেঘ ভুলে আসা তুমি-
আমি ভেসে যাবো চাঁদের কিনারায়,
না ভুলে দুখেই মন মিশিয়ে-
আসবো বলেও আর আসবনা,
চলে যাবো দূর রাজ্যের ঠিকানায়।
কতো আর যতনে গড়া তুলতুলে টলটল,
যে মায়ায় ধরে রাখে এক বিন্দু ঝরে যাওয়া মন-
তার জ্যোতি কিছুক্ষণ মন টানে শুনে না ভুলে বারণ অকারন।
কেন বল দেখনি আজো সেই সে ছায়ার পথ?
পথের পথে যে রক্তকান্না কতো হারিয়ে গেলো পূর্ণিমাও চাঁদ-
কালো জলে নোঙ্গরে পেতে ঘন হাবুডুবু কার সে তখনো?
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রক্তের দাগে-
সাদা শার্টের পকেটে রক্ত গোলাপ পাপড়িতে লেখা তার নাম-
অনেক মানে চেনা।
ছলছল জলেও যায় না যে ভুলা-
বর্ষণ হয়ে ছুঁই পা না ভিজিয়ে,
অভিমানে গোধূলীও না-ডুবে একেলা।    


- মৃত্তিকার মিম্বর