পরিণীতার পায়ের নূপুরের রিনিঝিনি শব্দের মাঝে চুপচাপ লুকিয়ে
কি এক সুস্পষ্ট পদছাপ কিছুটা হলেও খানিক দৌড়ঝাঁপ।
কিশোরীর বেণী করা চুলে লাল ফিতেটার গোছালো হাঁসফাঁশ
যেন খোলা বাতাসের জালে উড়িয়ে দিতে মন টানে তার অনেক আগে থেকেই।
দুষ্ট দুষ্ট চোখের পাপড়ির অভিলাষে হৃদয় কাড়া মুখের অবয়ব-হাসির মাধুরী,
যেন বলতে চায় কিছু তাও কেন যেন পারে না
কীভাবে বলতে হয় সেটাও ভুলে যাওয়া।
কিশোরের দল ছিমছাম উল্লাসে মত্ত ভালোবাসতে গিয়েও পারে না,
তবুও দূরে যাওয়ার আগেই পাশ কেটেই শুনিয়ে দেয় ভালোলাগার কথাটি।
এ এক রীতিমতো সময়ের পাঁচফোড়ন- শিহরণ,
অথবা সুজলা অনুভূতির উত্তপ্ত মনোযোগ প্রচণ্ডে।
সবার জীবনেই এমন সময় আসে, চলে যায় সমুখে-
জীবন নাচে ঘূর্ণিপাকে থাকা বাইজীর মতো।
অনুভূতি, অনুভব, মন, প্রাণ, হৃদয়, অন্তর, বিবেক-
সবশুদ্ধ একটি দেহের ভেতরের খেলা।
ভালোবাসা কিংবা ভালোলাগা কখনোই পাপ নয়।
প্রেমের মাঝে ভিন্ন কিছু; নিষ্পাপ তবুও তো হতে পারে; হয়।
মনের মিলে হাসে চারটি চোখ; কথা বলে; শুনে মনের বাড়ি,
একটু আধটু অভিমান; কষ্টের তোপ যেভাবেই হোক
ভেতরে আনমনেই স্মৃতিতে মিশে রয়।